শুভদীপ চক্রবর্তী
ভয়
বিষাদময়
মৃত্যুশয্যায় নিথর হয়ে আছে জন্মদাত্রী,
পেসমেকারের
শেষহয়েআসা ব্যাটারিটা
বাবার বুকে লাল
সিগন্যাল জ্বালিয়ে রেখেছে,
দু'মুঠো ভাতের জন্য
কান্না শেষে,
বাচ্চাটার চোখে
একযুগ শুষ্কতা,
অপুষ্টিতে ভুগতে
ভুগতে
মনটা আজ যেনো তেলহীন
শুকনো রুটি-
.
.
এর পরেও তুমি আমাকে
কষ্টের ভয় দেখাচ্ছো?
অন্তর্জলিযাত্রা
মৃত্যু নিষিদ্ধ
শীতলতা বয়ে আনে।
ধীরে ধীরে সেই শৈত্য
ছড়িয়ে পড়ে
নিথরদেহের চারপাশে।
শ্বেতশুভ্র শান্তিতে
আজ মানুষের মনন
নিদ্রামগ্ন,
চেষ্টা করলেও ওরা আজ
আর জাগবে না।
সংকটমুখী দেশ
আজ উত্তেজনায় কাঁদছে,
টাওয়ার পোড়া গন্ধে,
প্রতিবাদে প্রতিরোধে
দেশের নীল আকাশ,
আজ বিষাদমাখা।
শতাব্দীপ্রাচীন
কুম্ভকর্ণীয় নিদ্রায়
ঢেকে আছে আমাদের
অস্তিত্ব,
কুঁচকে যাওয়া বিবেক।
উলের বলের মতো
জট পাকানো অন্ধকারের
চাদরে চাপা আছে মেরুদন্ড।
বাইরে যুদ্ধ চলছে,
অস্তিত্ব রক্ষার
যুদ্ধ।
অন্তর্জলিযাত্রায়
চলেছে নিদ্রামগ্ন এই সমাজ।
হে, শক্তিমান
মদ্যলাগা সূর্যের
পাশে চোখ পেতে বসি
উদ্দীপনার কিছু
শুকনো ঘ্রাণ পেতে।
স্বার্থপর শহর
শতাব্দীবেয়ে নিদ্রামগ্ন,
ভালোবাসা শুধুই
খুচরো চাকচিক্যে মেতে।
হে, শক্তিমান। সযত্নে
লালিত আর্তচুম্বন রাখি তোমার চরণে।
নিরবতার মাঝেও
উল্লাস রেখো,
এই
অন্তঃকরণে।