গৌতম কুমার গুপ্ত
দোঁহান
উষ্ণ রক্তের ভেতরে
কয়েকটি বাদামী
হরিতকী উঁকি দিচ্ছে
টের পাচ্ছি তার
হরিদ্রা গন্ধ
সারা শরীরে বৈষ্ণব
মাখানো কীর্তন
নির্জনে চাঁদের
বিছানা হল
শেয়ালেরা উদগ্রীব
নিমচোখে
আলোকিত হল না কেন
অন্ধকার আজ?
তেজপাতার রঙে যৌবন
ফিকে হল এই
আমোদের সঙ্ঘাতে
কত্তালের হরিবোল
নগ্ন খুলি না এখন
কপিন কৌপিনে
আঢাকা বিস্বাদ লাগে
অবজীবনে
ঘটমূলে রেখেছি কিছু
উপার্জিত জীবিকার গম
ধান্যভাষে বিমুখ
রাখে নি কৃষিজ পাঠশালা
শ্রমবীজ পুঁতেছি
বিষন্ন দোঁয়াশে
সারগর্ভ জানি দু চার
ছত্র দোঁহার লিমেরিকে
বেশ আছি
আপদ গুছিয়ে রেখেছি
আপন্ন হতে
আঁধার করেছি অভ্যাস
চোখের বালিতেও
দ্বিত্ব দিধা
ইতস্ততঃ পেরিয়ে
দু একটি কিন্তু
তথাপি এবং যদিও
মাছি ও মশার মতো
গৃহপালিত
ক্ষত রেখেছি খুলে
রক্তবাহী ধমনী
বিপন্ন শৈলী মজ্জাগত
স্বভাবে
অভাবে ফ্যাকাশে
মুখের ঋত্বিক
কাঁটা খুলে বিঁধেছি
গোপন নখরে
নীল রক্ত নেই সাদা
রক্তের জলাশয়
শালুক নেই কোকনদ
পুন্ডরীকও নেই
জলজ শৈবালে প্রাচীন
পিচ্ছিল আহাম্মক
এই নিয়ে বেশ আছি
নিজস্ব তোষামোদে
এ ক ল ব্য
রক্তাল্পতা সরিয়ে
কলমের সূচাগ্রে
দু এক ফোঁটা রক্ত
লিখেছি
লৌহকণিকা নয় রযেছে
পাথুরে আমিষ
দুহাতে শত্রুর মুখে
তুলে দিয়েছি নিন্দার্হ
মুখরোচক ঘৃণার্হ
প্রশস্তি
নদীর বিমুখে সাঁতার
বেঁধেছি পায়ে
হাতের কলমে লিখেছি
শস্ত্রচালনা
একলব্যের দায়ে
যন্ত্রণা ধুয়েছি আঙুলে
আমার দু'চোখে আগুন নিভেছে
জলে
মুক্তো ছাঁদের
অক্ষরে যদি পাই খাদ্যপ্রাণ
তুলে নেবো অবশ্যই
খনিজ লবণ
সক্রিয় বিক্রিয়ার
জারণ বিজারণে
বিবর্ণমালায় হবো
সচ্ছল অণুঘটক
কলমের সূচাগ্রে দু
এক ফোঁটা রক্ত লিখেছি