কাকলি মান্না
ছদ্মবেশী ভাইরাস
মৃত্যুর মতন অনিশ্চিত পাখির ডানায় ভর করে নেমে আসে শূন্যতা
আমি তার বুকে কান পেতে শুয়ে থাকি
বিচ্ছেদ চেনা রিং টোন হয়ে ফিরিয়ে দেয় স্মৃতির ফসিল
হাতের ওপর হাত রাখা ছবি
পুরোন মহলের মরচে গেট
খুললেই ভেঙে ফেলে কথার স্বপ্নজাল
অন্য একটি ছবি
প্রতিবেশী রাষ্ট্র
সব সার বেঁধে দাঁড়িয়ে
এক ঈশ্বর নেমে
এসেছেন মানবতার পাঠ দিতে
দূরত্বের সাথে শৃঙ্খলা
এই প্রথম বেশ আদরনীয় হয়ে উঠেছে
ভাইরাস তাড়াতে বিশেষ সূচী এলসিডি পর্দ্দা বেয়ে ঢুকে পড়েছে
সাজানো আয়োজনে
নো ম্যানস ল্যান্ড
নিষ্প্রভ চরাচর জুড়ে কিছু উজ্জ্বল বীজ বুনছে আগামীর বার্তা
তুমি ইতিহাস
ভালোবাস
ক্যানভাসে তাই
সময়ের কোলাজ.. ঝুলে থাকা সাদা কালো রঙ ছবি ।
আমি দেখি বিন্দু বিন্দু রক্ত দেওয়াল জুড়ে ।
ঘরের ভিতর স্বস্তি চিহ্ন আঁকতে গিয়ে এঁকে ফেলেছ কোলাহল ।
জানলার বাইরে শেওলায় বংশ বিস্তার
এক নতুন পরিচয় লিখবে বলে তুমি ভাড়া নিয়েছ কথার সাঁকো
অথচ মন খুলে দেখ
দিক্ শূন্য পুরের ঠিকানা
হারিয়ে যাওয়া কথার মাঝে আঙুল ছোঁয়াতেই দরজা খুলে যায়
সামনে এসে দাঁড়ায় নো মানস ল্যান্ড ।.
ভাঙা আরশিতে মুখ
আমাদের কোন ব্যক্তিগত আয়না নেই
বুঝিনা রঙ তুলি সাদা কালো আর চিরুনির ব্যাকরণ
তুমি নাকি নেমে গেছ
খাদে নদী খুঁজতে
এখানে উপত্যকা বেয়ে বার্ষিকী প্রকল্প সবুজ এঁকেছে
সালোক সংশ্লেষ এক ভিন্ন রক্ষা কবচ
ধীরে ধীরে জানালা খুলে আকাশের মুখ একটুকরো আলোর অভিঘাত