আশিস্ ভট্টাচার্য্য
লড়াই
এইটুকু এক জীবন আছে
জন্ম থেকে ষাট সত্তর
হয়তো কারও একটু বেশী,
তারই মধ্যে এতো কথা, কালোমেঘে বন্দীদশা।
নিয়ম মেনে হাঁটছি যে
ভাই তবুও যে কেউ পিছলে পড়ে
এ'টুকু এক জীবন মাঝে
পাওনাগন্ডা কত লড়াই।
বুকের মধ্যে ধরাস
ধরাস চোখের মাঝে কালো আকাশ
শান্তি-চুক্তি যুদ্ধ সন্ধি হবে কিনা ভেবেই মরি।
খুন্তি হাতা চলছে যে
রোজ বন্দীদশা মানবে কি রোজ
চলছে জীবন দুয়ার
এঁটে, মাস মাইনে আসবে কিসে
বাঁচার জন্য শুধুই
লড়াই বাঁচার ফাঁকে করছি বড়াই।
তবুও দেখবে আকাশ
হাঁটবে, আকাশ হাঁটবে মেঘ সরিয়ে
কয়েকটা দিন খিল এঁটে
দিই খিড়কি ছেড়ে সিংহদ্বারে।
অব্যক্ত
কতটা সে কাছাকাছি
ছিল বুঝিনি,
অল্প চেনার সাথে
বোঝাও যায়না।
হাসি চুরি করে রাখত
ঠোঁটের পাশে
এ'টুকু বোঝা যেত সহজ
চাহনিতে।
তবু বলা হয়নি যেন
কোন কথা
সেও কি তবে বলেনি?
রয়ে গেল গোপনে
কানাকানির আগেই।
ভাবনার ভীতু ঘরে
মোমবাতি জ্বলে যায়
গলে গলে ক্ষয়ে যায়
শুধু মোম
নিভে যায় সন্ধ্যার
আলো মোমের গলনে।
আগামীতে
উদাসী এক
হাওয়া জালবন্দী করছে এদিক ওদিক
মানুষ
বন্দী হয়েছে ঘরে উৎকন্ঠার পারদে।
শ্রমহীন
দিনগুলো হাঁটছে ফ্যাকাসে রোদ্দুরে
চৈতী
দুপুরের মেঝে শিশু ঘুরছে ঘ্যানঘ্যানে মেজাজে,
ঘরের
ক্লান্ত দেওয়ালগুলো গমগমে রয়েছে
আমাদের
সবুজ থেকে ধূসর কথাতে।
এইসব
সাত-পাঁচ ভাবনাতে দুলছে আড়ষ্টমন
সন্দিহান
চোখে কেউ কাউকে দেখছে এক দূরত্বে।
সত্যের
আঁতুরঘরে চুপচাপ ঝিমোচ্ছে সময়
মানুষ
ঘরবন্দী হয়েছে কুঁড়ি থেকে ফুল ফুটবে বলে,
আগামীর
ভোর এলে ছুটবে নিত্যদিনের আয়োজনে।