তৌফিকুল ইসলাম
চৌধুরী
অপার বিস্ময়
কোথা হতে এসেছি আমি, যাবই বা কোথা ?
ভেতরে ঘনীভুত ঘোর, অপার বিস্ময় ?
নিজেই তো অচেনা নিজের কাছে,
ছায়া দেখে চমকাই স্বছায়া--
পিঞ্জরে অচিন পাখি --- আমি তো নই !
জীবনের এই কোলাহল চঞ্চল সময়ে
আশৈশব চেনা জানা জন,
সবাইতো এসেছে একা, একাই যায়।
অমোঘ ইশারায় ক্রমশ অদৃশ্য হয়।
সূর্যের মতো গড়িয়ে গড়িয়ে
নিরন্তর
নিয়তি তাড়িত মানুষ,
সর্বংসহা মাটি দু'ভাগ করে
কই যায়, কার কাছে উদ্বাহু ছুটে ?
আমার যেন কোথায় যেতে হবে,
দরজায় টোকা পড়ে, জলস্রোত বহুদূরে
টেনে নেয় বেহেলার সুরের কফিন,
জন্মান্ধ মানুষ চিনে নেয়
বৃত্ত পরিধি আপন অন্তিম
ঠিকানা।
বাউরি বাতাস
বজ্র ডম্বরু তালে আলোর খেলায়
গুড়গুড় ছন্দে নাচে মেঘ
বালিকা।
আচকা আউলা চুলের বাউলার
একতারার ক্রন্দনে, বাউরি বাতাস
দেখায় বিবসনা পলির নীলিমা।
জীবনের পদাবলী
শরীরের বাকল খুলে সুতনুকা তন্বী,
ডুব সাঁতারে দেখায় নারীত্বের
চারুকলা।
জলের অতলে নির্ভার সন্ধ্যা নামে,
তারপর বিশ্বস্ত রাতে নুইয়ে পড়া
শরীরে জাগে জীবনের আদি পদাবলী।