ব্রততী দাস
রূপান্তর
রক্তপলাশ, ফাগুনবেলা, স্মৃতির বাসরঘর
ছায়াশরীর, আবছায়া কোণ, নিকষ অন্ধকার
ভীষণ আপন পরশ-কুসুম
কাঁপন থরথর
সব চরিত্র যেমন তেমন
একটু রূপান্তর
নির্বাক জিজ্ঞাসা
এভাবে কি চলে যাওয়া
চলে
বিদায় না লিখে চ'লে গেলে
তুমি কবে এইভাবে যাও
কতবার পিছু ফিরে চাও
কোন অপরাধে আজ বলো
জীবনের দীপ নিভে গেল
আজও আমি একথাই মানি
কলুষ তোমাকে ছোঁয়নি
তুমি এক আলোর ঈশ্বর
ঘিরে আছো সমস্ত
প্রহর
অস্তিত্ব
না থাকার মোড়কের
মাঝে
মূহুর্তের ভাঁজে
ভাঁজে
কতদূর থেকে যাও তুমি
প্রতি নিঃশ্বাসে
তুমিও জেনেছ সেই
অস্তিত্বের অসীম
সীমানা
জেনেছ অন্য সুখ
যাকে ইন্দ্রিয় চেনে
না
সে আমার গভীর অসুখ
তোমার পূজার ছলে
তোমাকেই ভুলে থাকা,
ছুঁয়ে থাকা বাসনার
মতো
ছেঁড়া পৃষ্ঠার বুকে
যাপনের ইতিহাস যত
কুড়িয়ে রেখেছি আমি
প্রলাপের মতো
ছুঁয়ে রেখো, ঘিরে থেকো
সবটুকু অনুভব দিয়ে
তোমার না থাকা জুড়ে
কেবল তুমিই আছো
আরো কিছু অধিক
প্রত্যয়ে