বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

হামিদুল ইসলাম


হামিদুল ইসলাম

অন্ধকার

পৃথিবীর রোষে পুড়ে যাচ্ছে হৃদয়
পুড়ে যাচ্ছে মন্দির মসজিদ গির্জা
দেবতারা পায়ে পায়ে নেমে আসে মন্দির থেকে
মিশে যায় মানুষের মধ‍্যে
মসজিদ গির্জা ফাঁকা
আল্লা নেই  যিশু নেই
মসজিদের আজান গির্জার ঘণ্টাধ্বনি সবই বন্ধ এখন  ।।

ফাঁকা মাঠে পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ
নদীর জলে ভাটা। নাব‍্যতা হারায় পদী
চড়ায় চড়ায় পলিমিটি পাথর
পৃথিবী ডুবে যাচ্ছে পৃথিবীর শেষ প্রান্তে
অন্ধকার
অন্ধকারে গাদাগাদি করে শুয়ে আছে মানুষ
অন্ধকারের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটা গুমোট হাওয়া 

ঘুম থেকে জেগে উঠেছি সকালবেলা
সূর্য নেই
অন্ধকার
মা নেই
অন্ধকার
প্রিয় বান্ধবী নেই
অন্ধকার
অন্ধকারের চাবুক খুবলে খাচ্ছে শরীরের রক্ত অস্থি মজ্জা






আশঙ্কা

ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে তাই এক কপি ছবি তুলে রাখি নিজের
কবিতার সুবাস গায়ে মাখি দিনরাত
নিজেকে খুঁজি
অপূর্ণতার হাতছানি অরণ‍্যের লতায় লতায় 
ভাতের হাঁড়ির কথাগুলো গর্ভপাত করে
                  সন্ধ‍্যার গালিচায় ।।

কাকদ্বীপের সেই মেয়েটা আমার কবিতা আবৃত্তি করে
হাজারো জনতা মুগ্ধ তার পাঠে
আমি হাড়িকাষ্ঠে বন্দি
শবের মৃত‍্যুকোষগুলো আমাকে ছুঁয়ে যায়
অসম্ভব উত্তাপে পোড়ে শিফনবাড়ির কাঠ কয়লা
                  তক্ষকের হৃদয় ।।

সৃষ্টির কারিগর বরাবর থমকে দাঁড়ায়
পথের ধারে লাশ
আতঙ্কের সফেন সমুদ্রে বিছানো ভালোবাসা
শুকনো পাথর
মাটির গভীরে আসন্ন যুদ্ধের স্বঘোষ কাড়া নাকাড়া
                   ভাঙে মৃত‍্যু চক্রব‍্যুহ  ।।





তিন আত্মা

আমার রামধনু রঙ ছড়িয়ে পড়ে আকাশের সীমানায়
রঙের উৎসব
নীচে হালকা জলের ফোয়ারা
জল হাসে কথা বলে
তৃষ্ণা মেটায়
এমন কি মনের পূর্ণতা আনে মহাশূণ‍্যতায়।।

আমার ওই রামধনু রঙে একদিন দেখেছি
ঝড়ের কালো মেঘ
সেই ঝড় থেকেই বেরিয়ে আসে
যিশু আল্লা হরি
সবার গায়ে রামধনু রঙ
রঙে রঙে একাকার তিন আত্মা।।

আমাদের লেনদেন হিসেব নিকেশ পড়ে থাকে
হিসেবের খাতায়
খাতা খোলার সময় নেই
বাইরে মহাহুল্লোড়। কে যেনো আসছে। কারা যেনো আসছে
মনের পর্দা তুলে দিই ছইয়ের উপর
ওই তিন আত্মা মিশে যায় সবার আত্মায়।।

তবে দেশে দেশে দাঙা কেনো ------
কেবল এই আত্মাকে চোখে দেখি না তাই।।