জবা ভট্টাচার্য
বিবৃতি
তীব্র অভিমানে সরে
সরে থাকি
তীব্র অভিমানে ভুলে
যেতে চাই
একদিন-- পৃথিবীর সব
হলুদ কুড়িয়ে
বেঁধেছি আঁচলে, বুকের নরম বিভাজিকায়
লিখেছি সুখের
আখর।টলটলে পারদে
এঁকেছি ওষ্ঠ,গ্রীবা নিম্ন নাভিগ্রাম সব।
মায়াকাজলে চোখ
জ্বেলে,
আকাঙ্খা জড়িয়েছি
উন্মুক্ত চুলে।
আজ কালাহারি মন, অখণ্ড জীবন থেকে
ক্লান্তিটুকু মুছে
নিয়ে বলে,রাত আর রতি দেখো
অমোঘ দৈবের মতো আসে।
এই অবেলায়
পরকীয়াকে আমি
নৈঃশব্দ্য দিয়ে
যত্ন করে ঘিরে
রেখেছি---
পাথরের খাঁজে খাঁজে
পা ফেলে
কঠিন উত্তরণের
পর ক্লান্তি নেমে আসে---
উত্তুঙ্গ চূড়ায় উঠে
ঘুম আসে চোখে--
ঘুমের মধ্যে তোমার
ছোঁয়ায় জলতরঙ্গ
বাজে শরীর জুড়ে----
তোমার হাতে তুলে দিই
জীবনের যাবতীয়
সুরের সম্ভার---
তারপর নীল ঘুমে
ডুবে যাই এই অবেলায়।
সম্পর্ক
যেদিন তোমার চোখে
হিরের কুঁচি অশ্রুবিন্দু দেখেছি
সেদিনই তোমাকে একটা
সম্পর্ক দিতে চেয়েছি।
দামী গয়নার মতো, লাল ভেলভেটের বাক্সে
তুলোয় মোড়া
মহার্ঘ সম্পর্ক।
আমরা হাতে হাত রাখি, হাত বেয়ে----
আত্মীয়তা উঠে এসে
রক্তস্রোতে মেশে---
সেই জাফরানি
রঙের শেষ বিকেলেই
বাঁধা পড়ি কিছু
অলিখিত-- অনুচ্চারিত শর্তে
ধীরলয়ে, নিঃশব্দে আসা
নির্বেদ সম্পর্কের কাছে।