এ কে
এম আব্দুল্লাহ
একটি
মেয়াদোত্তীর্ণ অক্সিজেনপাইপের গল্প
জীবন
থেমে আছে সময়ের মেদে ; কারেন্টের জালে আটকে থাকা মাছের মতোন।স্পিনারের মতো ঘুরছে চোখ—
নি:শঙ্ক বাঁচার আকুলতায়।
তবুও চলো,হাওয়ায় দোলানো
বেয়াড়া চুলের ঘ্রাণ জিইয়ে রাখি বিলের কিনারে।
বৃন্তের
শক্ত বন্ধন ছিঁড়ে যাওয়া বোঁটার মতো— হৃদয় বেয়ে নেমে গেলে দূর্বোধ্য রাত। তোমার
খোঁপায় গুজে রাখা নিশিগন্ধায় চেয়ে রবে যে কালের মৃত ভ্রমর ; তার চোখ থেকে কেড়ে
এনে স্বপ্ন— লিখে নেব আনুগত্যের নতুন ইতিহাস।
তুমি
শুধু উন্মোক্ত করে দিয়ে উজ্জল ভোর,একটু কাছে এসো।আমি তোমার সিঁথি ভরে ঢেলে দেব ফের; মুঠোভর্তি সূর্যকণা।
লকডাউন
ফুলতোলা
রুমালে আটকে গেলে আতঙ্ক; কোয়ারেন্টাইনের দেয়ালগুলো কেঁপে কেঁপে ওঠে। আর আমাদের
হার্টবিট বেড়ে যায়।আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হয়ে আসে। অ্যাটোমেটিক অন্ হয়ে যায়
লেটেস্ট প্রজেক্টর। ডিসপ্লে হতে থাকে তিনরঙের দৃশ্য।যেখানে তরঙ্গায়িত হতে থাকে
আমাদের ভেতরের সিম্পটম।
এরপর
লকডাউনের দেয়াল ভেঙে নেমে এলে অদ্ভুত সাইরেন ; বাঁচার আকুলতা মাথায় বেঁধে ঝাপ
দিই এন্ড্রয়েডঝিলে। গ্লাসের প্রটেক্টর ভেঙে বন্দী করে নেয় রেডিয়েশনের পলুই।আর
এমব্রয়ডারি ঘোষণা শোনে হাতের ফাঁক দিয়ে ঝরে পড়ে রিচমন্ড পার্ক,সায়েদাবাদ,লঞ্চঘাট কিংবা
কমলাপুর। আর্তনাদগুলো বিভক্ত হতে হতে হারিয়ে যায় ভিড়ের ভেতর।
আহা! ছিপ
আঁটা বোতলের ভেতর থেকে কখনও যদি বেরিয়ে আসে,নেশাগ্রস্থ দীর্ঘশ্বাসের দানা; বেঁচে থাকা সময়ের
স্ক্রিনে আমিও একটি গল্প হব।
ভয় আর
প্রেম সংক্রান্ত
পরীক্ষার
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো,আমাদের সম্পর্কের কথা যেদিন ফাঁস হলো; জঙ্গী আক্রান্ত
এলাকার মানুষের মতো তুমি আতঙ্কিত হলে। আর আমরা ভয়ে জেল পালানো আসামির মতো পালাতে
থাকি।পালাতে থাকি। এরপর চলন্ত ট্রেনে ওঠে তুমি আমার সিনায় এলিয়ে দিলে ক্লান্ত
শরীর। হাত ধরে বললে, প্রমিজ করো কোনোদিন ছেড়ে যাবে না।
এভাবে
আমরা ডুবে গেলাম আবেগের জলে। অকস্মাৎ, জানালা ভেঙ্গে আঘাত করে আমাদের চোখে-মুখে, অপারেশন হিটব্যাক এর
মত বনোয়া বাতাস।
সম্বিত
ফিরে পেলে দেখি,
আমরা
বসে আছি বিগত পরীক্ষা হলে। আর আমাদের ঘিরে আছে, আমাদেরই আপনজন; হাতে নিয়ে পৃথিবীর
নকশি আঁকা উপসংহার।