বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়


জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

রং আর আলো 
 
আপনার প্রিয় রং যদি হয় সাদা তবে
আপনাকে বলি বেশ জমিয়ে খেলুন হোলি
সাদার উপর সব রংই মানিয়ে যাবে। আর
আপনার সাদা পোশাকে বিচিত্র রংয়ের
ঝিলিক আহা! ময়ূরীর চঞ্চল গ্রীবার মতো।
সব রং নির্বিচারে ফিরিয়ে দেয় বলেই সে সাদা
যে জমিনে সুন্দর জমে যায় কালির উচ্ছলতা।

যদি কলঙ্কবিলাসী হন তবে বলবো  --
আপনি রোদ্দুরে কখনো দাঁড়াবেন না।কারণ  --
কালো গিলে নেবে আলোর সব রং আর রোদ্দুর......
রোদ্দুর...... কালোকে ধূসর করে দেবে।



    




দুই মালাকার

কর্মী মৌমাছির চোখে হাবসি বান্দার
কান্নার দাগ গঠনাকৃতি ছাড়িয়ে সমান্তরাল
দুটি ধারা মিলমিশ।পুষ্পাসব বা আতর-
গোলাপজলের মাখামাখি কোনো উপশম নয়
যন্ত্রণার আবরক মাত্র।

গেটপাসে জড়ানো পরিতৃপ্তিগন্ধের
ছিটেফোঁটাও সরল বা গুচ্ছ অনুভূতিহীন
সেই চোখে লাগে না।
জৈবকাচের কঠোর ঔদাসীন্যে গোপন
হতাশার স্বরলিপি।নীরব আর্তি লিঙ্গভেদ
মানে না।

তলানির সুখ নিয়ে ভারী হয় তল কিম্পুরুষ
বয়ে চলে জীবনের ভার নষ্টসুখ নষ্টমন
কল্পতরু বাগানের বঞ্চিত মালাকার।

দুই মালাকার।






    
চিত্তচৈত

এই বাতাসে গন্ধ ঝড়ের ফাগুনবাতাস আগুনবাতাস
ফুলপরিদের কোমলমুখে কীসের আলো স্বপ্ন ভাসে?
বসন্তদিন স্বপ্নসুখের তার পিছনে শঙ্কা কেন ডঙ্কা বাজায়!
কোন সে নিষাদ ধনুক হাতে লক্ষ করে কোমলশরীর
রক্তলোভী!গন্ধফুলের মগ্নছোঁয়া হাত ধুয়ে নেয় পলাশরেণু
বাজায় বেণু কোন রাখালে মাতাল সুরে টানছে কেন
গাঁয়ের রাধা শালের বনে বাধা কঠিন জলের ছলে
যাওয়া বারণ ধু-ধু পুকুর আজ যে রাবণ বাড়ির মানুষ।
থাক না বাঁশি ভাঙন সুরে বাঁধন আছে শক্ত ভীষণ
আজ সে থাকুক বাড়ির ভেতর দেহটাকেই দেখুক লোকে
মনের নাগাল অনেকদূরে উড়ছে ধুলো গরম পথে
মুখ পুড়ে যায় বুকও পোড়ে চৈতে তবু দইতে আগুন
দল বেঁধে যায় রঙ্গময়ী সেই কি জয়ী?  দেয় না ছেড়ে
মানুষগুলো সেই যে যারা স্বপ্ন দেখে মধুর ঋতু বধূর মনে
ঝড় তুলে দেয় চৈত্রপবন বাঁধন ছেড়ে দেহমনের
লাগায় ডানা স্বপ্নপরি যাবে কোথায়?