বনশ্রী রায়
পারাপার
আবহমানকাল ধরে,
পার করছি মানুষ ৷
জানালার ওধার ৷ মেঠো আলপথ ৷
একান্তে গাঙচিলের বাস ৷
অগোছালো অলস দুপুর ,
ছোট ছোট শ্বাস
৷
খুঁজেছি আকাশ , উত্তপ্ত মাটির বুকে ৷
জলছবির তুলিতে আঁকি,
নির্বাসিত রাত্রিযাপনের ইতিহাস ৷
নিষিদ্ধ পারাপার ৷
দ্বন্দ্বহীন ঘাতক
ছুঁয়ে থাকা বসন্ত বাতাস ৷
এক
রাতের গল্প
এক
নির্বাক বাতিস্তম্ভের আলোয় ,
স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জণবর্ণের
খেলায় মগ্ন কবি৷
সুখস্বপ্নে বিভোর অস্তিত্ব ৷
প্রেমিক৷র
কাজল কালো চুলছোঁয়া গন্ধে,
সুবাসিত বাতাস ৷
চরণছোঁয়া নরম মাটি জানান দেয় গতিপথ ৷
কবি মহাশূন্যে হাঁটছেন ৷
অজান্তে অনামি ঘরের খবর আনল মেঘেরা ৷
বিষণ্ণ রাতে জোনাকির আলো নিভে গেল ৷
কবির চোখে জল ৷
নীরবতা মুহূর্তে বুঝিয়ে দিল,
ভালবাসা- তুমি প্রাক্তন ...
সাঁকোটা
দুলছে
যে নদীটার বুকে মাঝি
ভাটিয়ালি সুর গায়,
ঝিনুক খোঁজে মুক্তো ,
যে নদীটার শ্রাবণধারায়
তোমার শীতলতা ,
একদিন তার কাছে এসো ৷
নদীপাড়ের সোহাগ মাখো ৷
জংলি বুনো ঘ্রাণে ভাসো ৷
নদী দেবে উজাড় করে
এক আঁজলা দেহজল,
তর্পণি ফুল মুঠোয় ভরে ৷
দু পাড় সাঁকোর মধ্যখানে ৷