বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

মৌ মধুবন্তী


মৌ মধুবন্তী

সম্প্রীতি ভীষণ রৌদ্ররক্ত

১।

তুমি শক্তিশালী স্বাধীনতার সংগ্রাম,

বুঝে নাও শাসকদের সুচতুর ভেদনীতির

সফল প্রয়োগ সরিয়ে দাও অগ্রগামী জনতার

মাঝ থেকে  শোষণের ভেদ  উলঙ্গ আকাশ

সম্প্রীতির বাসব সন্তান কই তুমি  ,

চারিদিকে বিদ্বেষ-বিরূপতার উত্তরাধিকার

বহন করে চলেছে  উপকুলের মত প্রজন্ম

আধুনিক কিংবা ওয়াই!

অসহিষ্ণুতায় যে সংঘাত তৈরি করেছে তাতে

জ্বালানি যোগ করেছে চতুর শাসক শ্রেণি

নানা কায়দা-কৌশলে, বৈষম্য বাড়িয়ে।

কফিনের পেরেক আর চিতার পেরেকে কি পার্থক্য?

সম্প্রীতি বানান করো হে সকল ধর্মের মানুষ

তোমরা বাংলা জানো? ইংরেজীতে বিভেদের ব্যাখ্যা করো

তোমরা যারা বিভেদ বাড়াও তারা কি বিভেদের অর্থ জানো?



কেউ কি জানে  কফিন বানাতে যে পেরেক ঠুকেছে

সে পেরেক কাদের,  কোন ধর্মের কারখানায় বানানো হয়েছে ।

যার মাথায় ধর্মের পোশাক মুচকি হাসে তা বানিয়েছে

                                                             কোন ধর্মের লোকে?

কে ছিল ওই লৌহ টুকরার মালিক?

তাহলে ধর্মের নামে মানুষের গায়ে আগুন লাগাও কেনো?








আগুন পোড়ে,  এটাই তার ধর্ম ।

সে পালন করে তার ধর্ম নির্ভয়ে।

দেখেছ কখনো কোন আগুন কাউকে

তার থাবা থেকে মুক্তি দিয়েছে।

আগুন তার কাজে নিবেদিত

জলের কাজ নানাবিধ,

কখনো সে ডুবিয়ে মারে,

কখনো সে ভাসিয়ে নিয়ে যায়

কখনো সে জান বাঁচায়।

শরীরের ভেতরে আগুনের বাস নেই

কিন্তু জলে গড়া দেহে

এই বিবিধ পঞ্চম, তার কাছে শাসন,

শোষণ, মেহনতি আর শ্রমিকের মধ্যে

কফিন থেকে চিতার দূরত্বে কি আসে যায়, 

বলতো এই বৈষম্য এদিকে আয় তোকে

কৌশলে আমি অসহিষ্ণু করে তুলি

চতুর শাসক দুই ধর্মীয় সম্প্রদায় হিন্দু ও মুসলমান,

নেপথ্যে তৃতীয় শক্তি শাসক শ্রেণির

ভাগ করো/শাসন করো’মূলক বৈষম্যবাদী চিন্তা

এসো অবিভেদ ভাগ যোগ করে খাই

এসো অসম্প্রদায়িক জমজ  করি,

হাতে হাত হাত মেলাই ,







৩।

তুমি পাবলিক, তাই তুমি বোঝনা রিপাবলিক

ওটা রাজনৈতিক , এটা অর্থনৈতিক

তুমি পাবলিক  পাললিক জমদূত

তুমি বুঝবে না রিপাবলিক

তুমি বোধ করো না গ্রিক দার্শনিক প্লেটো

তুমি ইউটোপিয়া গ্রন্থ বটে

বাট কিংবা কিন্তু জানতে পারোনি

কোনদিন সুবাতাস  টমাস ম্যুরের অর্থ বোঝনি

তুমি ‘Survival of the Fittest”-

এর আঁটসাঁট প্যান্ট পরে দুঃখিত ভংগিতে হাঁটছ

অথচ কোনদিন চার্লস ডারউইনকে  হারিয়ে দিয়ে

বেবাক তত্ত্বের কোন সন্ধান দিতে পারো নি।

তুমি একেকটা বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞান,

বিজ্ঞানের সমাজে নৃবিজ্ঞান হয়ে লাঠি হাতে

ঠক ঠক করছ রাস্তার ফুটপাতে—

না পারছ আগাতে না পারছ পিছাতে

কিন্তু তুমি সাম্যবাদের কোন থিওরিকে

আজো গ্রহণ করোনি।

তুমি ‘দ্যা প্রিন্স’ চিন্তাবিদ ম্যাকিয়াভেলির প্রতি

অহেতুক সন্দেহ কুটনৈতিক চাল দিয়েছ,

তুমি কুষ্ঠরোগ বাতিকগ্রস্ত হয়ে ঠুকে দিয়েছ

কয়েকদল আমলা -মামলা নিরুপোদ্রব মানুষের বিরুদ্ধে