অভিজিৎ দাসকর্মকার
কোমরে উলঙ্গ
ঘামবিন্দু
ও, এবার মনে হচ্ছে
তছনছের ভিতর হাঁটতে শুরু করেছি______
জলের ভিতর মগজের গাঢ় শব্দ, এবং
নদীর ওপাড়ে ছিলো বৃষরাশি আর
মঙ্গলের বক্রীদৃষ্টির এপাড় থেকে
গড়িয়ে পড়ছে আধারকার্ডের গভীরতা,
এই মতো অবস্থায়, শাড়ির ভিতর কানাঘুষো
যখন ব্যস্ত,
তখন
উত্তাপ বাড়ছে কাশির শুকনো দশায়, আর
গণিতের খুঁটিনাটিতে ঈশ্বরকণা
কোণঠেসিয়ে উৎপটাং
অনুকূল-প্রতিকূলের সমাধানে
মগ্ন————
ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে খোসে পড়ছে আড়চোখে
চাউনি,
এবং
আমার বয়সের ওপারে গজদাঁতের হাসি এবং
কোমরে উলঙ্গ ঘামবিন্দু
নিশিপদ্মের ভিতরে কাঁদছে ____
স্ট্রীম অফ কনশাসনেস
মতবাদ দিচ্ছো?
ওরা চলে গেছে হিরোশিমা
প্রান্তে---
আজ স্বপ্নগুলোও তেতো | অনেক বেশি আকাশ |
ঝুলন্ত রোদ আর পরিপাটি সূর্য
পাটভাঙছে |
তা হোক! চা-এ স্যাকারিন দিও |
ছোটো হতে হতে বয়স, আজ
তৃতীয় দশকের নাভিমণ্ডল থেকে
মহাযোনি পথে ধ্যানস্থ____
ঘুম নামছে মস্তিষ্ক থেকে | কারণ,
বিভোর ছিলাম অপলক স্বপ্নের ভিতর |
নদীও আজকাল আমায় দেখে শব্দ ভাঙে
|
ভেঙে গেলে খবরের কাগজের গন্ধ
আসে নাকে |
এখন
বিকলটাও ৬:০৪-এর দিকে আবাধ্য এগিয়ে যাচ্ছে |
রাখি | একটু চা খাবো...
রাশিফল এবং ইশারার
গুপ্তশব্দ____
ভরনপোষণ, বৃষ্টিতে ভিজে
গ্যাছে। জরিপ করা হচ্ছে শরীরের, এবং
তারই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জুড়ে আকাঙ্ক্ষা। ভীষন
ছটফট করছে হৃদশব্দ। গ্লুকোজসহ ছুটছে আমিষাশী নিয়মাবলি আর
অন্ধকারের দরজা খুলতেই মেষ সরাল এবং নদীর
অগুনিত ছলাকলা অসংযত মৌনতার সাথে মেলোড্রামা লিখছে,
দেহবিন্যাসে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই করছে ভাঙচুর, গজিয়ে ওঠা মেজাজ ————
বর্ননা করতে হবে মেরুদণ্ডের। এরপর চলবে
নির্বীজকরণ,
রাশিফল
এবং ইশারার গুপ্তশব্দ______