বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

সুকান্ত মজুমদার



সুকান্ত মজুমদার

প্রথম দেখার পর

ভারাক্রান্ত দায়ভার অশ্রু নিমজ্জিত
চির জলজ নেত্রের স্প্রীহা জুড়ে
তোমাকে প্রথম দেখার ছলেই
শাসিত মনের কন্ঠ হয়েছিল উদগ্রীব -
প্রতি আশঙ্কিত সন্ধ্যা লহরীতে
আনমনা সুর কখোন গান হয়ে গেল
বিনম্র কন্ঠের মৃদু আর্তি নিবেদনে
শুধুই জয়ধ্বনি দিল নাবুঝে।

রাত সন্নিহিত দৃষ্টিরা চিনেছে
নিছকি সম্ভ্রম কাজলের ঝিঁঝিঁ কান্না
পালা বদলের কলেবরে
ঘুম ভাঙ্গে সেভাবেই -
না পাওয়ার পদধ্বনি বেসুর রাগে
নুপুর হীন পায়ে
দৈর্ঘ্য প্রস্থ হীন দৈনতার সাথে
কলুসিত রাজত্বের সঙ্গচ্যুত বারান্দায়।







অন্ধ অন্ধকারে

দুচোখ আত্মবিশ্বাসের সরলতায়
অনেকবার বশ্যতা সুগন্ধ করেছে
বহুকোষী জীবের অপ্রতুল সহিষ্ণুতা।
প্রতিটি সকালি অন্ধ অন্ধকারে
হীন আত্ম প্রলোভনের সঙ্গবদ্ধ মেঘেরা,
নতুন পথ সর্পিল দর্শন
কিছু উপাদেয় চরিত্র পথ প্রদর্শক
আগাছা আর্থিক সমাহারে শুভেচ্ছাময় -
চাঁদেরা নির্বাসিত নতুবা আত্মগোপনে
আমাবস্যার কুহেলি দুয়ারে দুয়ারে







মাইলষ্টোন

নিভে যাওয়া স্বপ্নরা অপেক্ষার দেওয়ালে
কান রাখে প্রতিশ্রুতির কারাগারে
বেহায়া মুনাফা অন্ধ অক্ষরে
সুদীর্ঘ দাসত্বের ইতিহাস দীর্ঘতর -
ঘোষিত বাণী  চীৎকার করে বৈষম্যের
আমিসহ অনেক আমি পথ চিনছি
তাদেরি নামাঙ্কিত মাইলষ্টোনে।







উচ্ছিষ্ট

বীরত্ব মনের অন্তরালে
নিঃস্ব আমিকেই চিনিয়ে দিচ্ছে
উগরিয়ে দিচ্ছে অশুভ সিদ্ধান্ত
মুখ চুরিয়ে বাক্য গলির ল্যাম্প পোষ্ট
ভরে উঠছে আলোয়,
হাতবাড়িয়ে সে আলো যতদূর, 
প্রজাপতির পূর্ণ জীবন ততদূর
মাতছে সুখের ছড়ায় ছীন্ন ভিন্ন হয়ে
খুটে নিচ্ছে পশ্চিমের উচ্ছিষ্ট,
চির বসন্তের পাখি ভেবে অভব্য সভ্য
ক্লান্ত সমাজ দৃষ্টি ফিরিয়ে উদাস বাউল
অকাল বৃষ্টিরা রামধনু আঁকে
ষোলো থেকে পঞ্চাশের ক্যানভাসে -
মনোহর সুগন্ধির বিজ্ঞাপন ভেসে আসে
চায়ের দোকানে টিলিভিশন থেকে
অস্থিরতা সাইরেন বাজায় রক্তবাহে
পাঠ চলে পুরোদমে সাথে সাথে
নিঃস্ব হবার দরাদরিতে







বিবশ অহংকার

আরো কিছুটা নীচে নামলাম
অবিভক্ত নরম মাটির উদাস যৌবনে
রাতজাগা বিবিধ কথার মাটিসুর
শুকনো পাতাদের খুনসুটি,
যেখানে মাটি আঁকড়ে থাকা সুখ
শান্তি প্রলুব্ধ দোহে দোহে একাকার,
আরো খানিকটা পারলেই
দুই বাহুর অগোচরে আমার চিরনিদ্রা
ছবির মত গুমরে উঠতে পারতো।

শান্তি নীড়ে সমর্পিত নিশ্চিত আমিতে
মাকড়সার ন্যায় মোহজালে দিনরাত
বিবশ অহংকারের জালবোনা -
মায়া দেবী  মিথ্যে কান্না নিয়েই
ফিরে যেত, বেঁচে যেত আত্ম কলহ
একবারতো বলতে ইচ্ছে হতো
তোমার আঁচলের শেষ প্রান্তে
আমার ছুঁয়ে থাকা আনন্দ খুজে পেলাম।