তনুজা
চক্রবর্তী
কল্পনায় শ্রাবণ
নীল আকাশে
কালো মেঘের
চলছে আনাগোনা,
সৃষ্টি থেকেই
একে অপরের
অনেক
জানাশোনা।
শ্রাবণ আসবে
বৃষ্টি নিয়ে
নবীন পরিচয়ে;
পাকা দেখার
পর্ব এটা,
মিলবে
পরিণয়ে।
শ্রাবণ
বৃষ্টি নব দম্পতি
সতেজ
বসুন্ধরা,
সবুজে সবুজে
সাজবে সবাই
শীতল বারিধারা---
আকাশের তাই
সাজগোজ এত
রঙের সমাহার,
প্লাবন দিয়ে
শ্রাবণ যেন
হয়না কদাকার
।
বর্ষা
জীবনে যাদের
রোজ বর্ষা
তাদেরও
শ্রাবণ আসে,
সেই শ্রাবণে
নিজেকে মিলিয়ে
হয়তো সুখেও
ভাসে----
ওদের আনন্দ
স্বজাতির সাথে
কিছু সময়ের
মিলে,
আমি বুঝি
যন্ত্রণা সব ,
মিশে যায়
খালবিলে---
জীবনের সব
বর্ষা মিলেই
শ্রাবণ তৈরি
করে,
সব দুঃখ
একসাথে মিশে
বৃষ্টি হয়ে
ঝরে।
শ্রাবণ এলেই
সবুজ আসে
রূপসী বাংলা
হাসে,
রোজ বর্ষার
নয়নের জল
শ্রাবণের
স্রোতে ভাসে।
এটাই চলছে
গেল গেল
কবিতা, দিকে দিকে রব
আমি বুঝি
অবুঝ এর, এটা বৈ-ভব ।
সব গেল
বলাতেই খুশি দেখে যারা,
এভাবে নিজেকে
খুঁজে ,পাবে ভাবে তারা !
লিখে বলে কবি
আমি , কি যে হতে চায় ?
নাম নিয়ে
ছুটে মরে, যদি কিছু পায়।
ভরে পেট মজে
মন, জনরব তুলে,
জাতের ধর্ম
এরা, সব গেছে ভুলে!
মন বলছে
জন্ম আমায়
ইঙ্গিত দিয়ে
বলেছিল মনে
রেখ,
নিজের থেকে
নিজেই তুমি
একটু দূরে
থেক।
নিজেকে চিনতে
চাইলে তোমায়
অসুখ বলবে
লোকে,
নিজের ঘরেই
বলবে সবাই
চিনিনা আমরা
তোকে!
বুঝিনি আমি
ইঙ্গিত তার
রাখিনি তার
কথা,
নিজের জন্য
যখনই চেয়েছি
পেয়েছি শুধুই
ব্যথা ।
চেষ্টা করেও নিজেকে
হারাতে
দেয়নি আমার
মন,
নতুন করে
বাঁচতে চেয়েছি
খুঁজেছি
আপনজন।
পোষা মানুষ
বড়ো
তাড়াতাড়িই ক্ষমতা শব্দটা
নরককে জায়গা
করে দিচ্ছে,
নিজের মত
করে---
সারা বছর
শ্রাবণের বৃষ্টি ঝরছে,
নোনতা স্বাদ
বৃষ্টির জলে!
মরুভূমির
তপ্ত বালুর তেজ,
ক্ষমতার চোখে
মুখে---
জলের
পরিবর্তে রক্ত বিকোচ্ছে,
তৃষ্ণা
নিবারণে মানুষের আদিম রূপ!
যারা বইতে
পারেনা , বওয়াতে পারে
ঝোলাতে পারে
গণতন্ত্রকে, পোষা মানুষের
বিকৃত কামনা
দিয়ে----