বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮

অরুণ কুমার দাস




অরুণ কুমার দাস

বৃষ্টির কবিতা -১

সাক্ষাত বৃষ্টি

পারাপার জেগেথাক
মাঝরাত নিরাময়

বৃক্ষদের

চার রকমের আদেশ

বৃষ্টিতে

বৃষ্টিতে
বৃষ্টিকে ধ'রে থাকি-

নতমুখি ফুল।
জলের বুনন। জলে নেমেছে।বৃষ্টি নেমেছে
বৃষ্টিতে

রাত হল।
পাড়াময় আঁধারের উত্তাপ-

২।

বিনুনি বাঁধলে বৃষ্টিকে মিষ্টি দেখায়
বৃষ্টিকে ডেকে নিই একসাথে ভিজি






না -  কবিতা  -১

ঝাপিয়ে পড়ার মতন দৈন্যতা
কখনো কখনো আমার নির্বাক খনন করে যায়

অপ্রকাশিত আপেলগাছটির চুম্বনে ভ্রমর বশে

ব্যথাসম্পর্কিত দুধের শর ভাসিয়ে রাখে ইচ্ছেকে

ইচ্ছের বাঘ একলা হলে হরিণের খোলসে

মেয়েশরীরের শুড়শুড়ি অনুভব করি








না -  কবিতা  -২

রাত্রি এক মূল্যবান হরিতকি ফল
পরমায়ুর জ্যোৎস্নায় সাঁতার কাটা চাঁদ
এই মুহুর্তে আমি তার কাঁধে
হাত রাখলাম।বায়বীয় হাত।
নিসর্গের কমন প্যাসেজ।
প্রেমিকার হারানো ভ্রুর ধনুকে
আমার উস্মৃত ধনুক ঝুলিয়ে
যুদ্ধ করি

মেপল গন্ধের ছায়ায়
গতজন্মের হস্তমৈথুনগুলো জেগে ওঠে

'





মর্গের পথে

আগ্রহ অধীর
সাঁকো ভেঙে মুহুর্ত
চলমান দুপুর

ইচ্ছেকে বটপাতার আড়াল দিলাম
দিলাম নদীর প্রত্নযৌবন

এবং একটি হাঙর চোখ
খেলার বয়স পারকরে কুকুর হেঁটে যায়
ধাবমান দিন আপেল পতনের মতন নিরুত্তাপ বসন্তে

তারপর, আমরা ভেঙে যাওয়া সাঁকোয়
ঝুলে ঝুলে পেকে উঠি আর ঝরে যাই

নিবৃত্তি না প্রবৃত্তি কাকে যেন আলিঙ্গনে ডেকে নিই
মর্গের পথে---







যে ভাবে মৈথুন ছিড়ে যায়

চোখের জলরঙে রোদ্দুরের খোলশ
অর্ধেক তাপ বিকিরণই হলনা - শীতের বিকল্প
উপবাস গেয়ে

একা একটি নদী
আটপৌরে মেধায় ধান-বপন করে
আকাশের মতন বিধর্মী হতে হতে মৌমাছি ও একদিন
জাহাজ হয়ে ওঠে

প্লাবনের নমস্কার চিলেকোঠার দেয়ালে
তখনো আমরা সম্পর্ক সেলাই করতে থাকি - মলাটের হীমযুগে
সুতোর তাপ গাইতে আসা শরীর সাদা কালো ছবির সকালে

প্রাথমিক আমরা বায়বীয় হই

প্রত্ন-যৌনতায় মা-বাবা ঘুমাচ্ছে
সার্বিক আপেলবাগানে কমলা রঙের ঈশ্বর