সায়ন্তনী
হোড়
অলীক
চারিপাশের
ছায়াপথের রাস্তায়
একমুঠো
বেহিসাবী প্রেমেদের গিলে খাচ্ছে
অস্তিত্বহীন
এক পোড়ো বাড়ির শরীর ।
তবুও আজ
নীলাক্ত বৃষ্টিদের গায়ে
একটা
ফ্যাকাশে অলীক দাগ
পড়ন্ত
বিকেলের ছায়ামাখা মাঠে
পড়ে থাকে
বর্ষার সেই সবুজ মোহময় রূপ ।।
ইচ্ছে
সেদিন
বৃষ্টিমাখা জনালাদের খুব
আদর করতে
ইচ্ছে হয়েছিল
ইচ্ছে ছিল
সেই মেঘেদের দেশে
এক ঝাঁক
পরীদের দলে হারিয়ে যেতে।
হঠাৎই একটা
চশমার ফাঁক দিয়ে গলে
যাচ্ছে না
বলা কথাদের সব অশ্রুজল
নামহীন এক
অনুভূতিদের বাঁকে
হারিয়ে যাক
সব বৃষ্টির ফোঁটারা।।
শরীর
কখনও আকাশ
থেকে ঝড়ে পড়া
বৃষ্টির
সূক্ষ রূপ কে দেখেছো ?
আমিও দেখেছি
বললে ভুল হবে
তবে আমি শুধু
দেখেছি
হাঁ করে
গিলতে থাকা পৃথিবীর মধ্যে
বৃষ্টির সেই
অনাবৃত শরীরের জ্যামিতিক আকৃতি
হিমরাজ্যের
শহর জুড়ে শুধুই
দেখা যাচ্ছিল
সেই শরীরের অংশ বিশেষ ।।
অ-দৃশ্য
উবু হয়ে থাকা
মানচিত্রের
মধ্যেই আমার
শূন্যতা গুলো কে
হারিয়ে
ফেলেছি
কালো মেঘের
নৌকায় ভেসে
গেছে অপরিণত
সব ইচ্ছেরা
বর্ষায় ভেজা
গভীর অরণ্যের
প্রতিটি
পাতায় আজও আমার
সব অদৃশ্য
সুখের
বৃত্তীয়
অস্তিত্ব খুঁজে চলেছি ।।
এবং সেই বৃষ্টিরা
(ক)
পুরোনো সেই
রাস্তা জুড়ে
হেঁটে চলেছি।
সবই কাল্পনিক
প্রেমের এক
অংশ ।
(খ)
অর্ধেক
ডুবন্ত সিঁড়ির ভাঁজে আমার
সব কাব্যিক
চরিত্ররা বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে ।
(গ)
হয়তো
প্রজাপতি হয়ে উঠতে
পারি নি
কোনদিন।
কিন্তু
বৃষ্টির ফোঁটাদের সাথে
তোমার নীল রং
কে মিলিয়ে দিয়েছি।
(ঘ)
হলুদ কার্ডের
শব্দদের সাথে আজ
বৃষ্টিদের
চুম্বন মিলিয়ে যাক।।