মৌসুমী
মণ্ডল দেবনাথ
রোমন্থন
সাগর যতোই
নীলাম্বরী, জাহাজ কিন্তু
কম্পাসের
সন্ধ্যে
জ্বলে হ্যালোজিনে, তারিফ থাকে জোছনার
ঝাউবনেরা
উড়ছে হাওয়ায়, সমুদ্র স্নান
দম্পতির
একটি ঝিনুক
ঠেকলো তীরে, ঝড়ের পাশেই অভিসার
ঝরা পাতার
শব্দ জমে, ডায়েরিতে আজ অমনিবাস
ঝাপসা বয়স একলা
ঘরে, জানলার আজ মনখারাপ
ইচ্ছে
দুপুরের
রোদের দিকে লেলিয়ে দিলাম
একটুকরো কালো
মেঘ,
উতল বাতাস
আর
গ্রীষ্মের
ছুটিতে
পাহাড় দেখতে
চাওয়া মন
আমার ভীষণ
ইচ্ছে
তোমার সাথে
ভাগ করবো
মধু মাখা
বিকেল,
ইছামতীর ভীষণ
ঢেউ
আর
মে 'মাসের একটা রু রু
রাস্তা
জুনের এক সন্ধ্যেয়
আমি হবো
বৃষ্টি গান
তুমি রকস্টার
আর
আমাদের প্রিয়
সন্তানেরা
মন দিয়ে পড়বে
আন্তনিও
গ্রামসির প্রিজন নোট
একদিন
আমরা
আজীবন প্রিয়
জুতো খুঁজছি
হয়তো খুঁজবে
আমাদের সন্তানও
জিরাফের দেশ,
পুরো জুলাই
মাস ধরে
বৃষ্টি ঝরছে
ঝরছে
আর
আমরা রক্ত
ধুয়ে নেয়ার জন্যে
বর্ষাকাল
খুঁজেই পেলাম না
বাইরে ভীষণ
গ্রীষ্ম
জ্বলছে
রাইটার্স বিল্ডিং,
গলছে রাজপথের
পীচ
আর
বৃষ্টির এক
রাতে
আমরা জন্ম
দিচ্ছি
দীর্ঘ শীতকাল
প্রাণহীন
একদল হরিণ
রোজ সীমান্ত পেরিয়ে
ঘাসের খোঁজে
আসে
-জীবন
শীতের রোদ
মেখে আগুুন হয়ে যায় গুপ্ত চাঁঁদ
শস্য ক্ষেতের
তীর ছুঁয়ে মৌন মিছিল হাঁটে
-বিদ্রোহ
পাহাড়ের গা
বেয়ে নেমে আসে চা বাগান
আমলকী বনের
নিরুত্তাপ ঝরনার ছায়ারা
—সবুজ
একদল
শরণার্থী কোলে শিশু কাঁটাতার পেরোয়
ভীরু পায়ে
পায়ে ক্ষিধে আঁকা শূন্য শরীরে
—আকাশ
যাওয়ার কথা
ছিলো নদীর ঢেউয়ের কাছে
যেখানে
ঢেউয়ের মাথায় নাচে মেরুন প্রজাপতি
-বেদনা
কে যেন শীতের
শেষ রোদে লুকিয়েছে রেশম চাদর
বইয়ের ভাঁজে
রয়েছে গত বসন্তের পলাশের বন
—নিঃসঙ্গ
পৃথিবীর
ডানায় বাসা বেঁধেছে লাবণ্য অমিত
সমুদ্রেরা
বারবার পাল্টেছে বৃৃষ্টির নীল পোশাক
—নিরুদ্দেশ
তবু মেঘের কাছেই তোমার
যাওয়া
তবু মেঘের
কাছেই তোমার যাওয়া । যদিও শহরটা আজ খরস্রোতা
কলম হোক আজ
আগুনপাখি। হোকনা মিছিল বৃষ্টিভেজা
লেখার খাতায়
রক্ত শুধু। লিখবো কোথায় হাতড়ে মরি
বৃষ্টি পাঠায়
অকাল শরৎ। পাল্টা হাওয়ায় যুদ্ধে ফিরি
জাগতে হবে
জাগাতে হবে। আওড়ে যাচ্ছে সূর্য সেন
পায়রা দেশের
পথ হারিয়েছে। গাইছে শহর বব ডিলান
আকাশ যখন নীল
ঘাসেরা ভীষণ
সহজপাঠ, আকাশ যখন নীল
ঘাসের গায়েই
লুকিয়ে থাকে, নাগরিকের ঘাম
সবুজ থাকুক
শহরবাঁকে, ঠুংরি আখতারে
কলম থাকুক
তোমার কবি, হার মানা হার' তার