অরুণিমা মন্ডল দাস
মাইনাস
আমাতে তুমি বীজগণিত হলে
ব্র্যাকেটের মধ্যে
রেখে “মাইনাস”“মাইনাস”খেলা
কালো
হরিণ দুজনের মধ্যেখান দিয়ে যুগ যুগান্তর ধরে হেঁটে চলেছে
দেখতে পাচ্ছো?
জড়িয়ে থাকা
কোলবালিশ কেঁপে উঠলেই পরীর দেশে চলে যাই
গোঁফ ,চুল ,সরুসরু হাত ,জ্বলজ্বলে চোখ ,কামুক ইশারা গুলো রজণীগন্ধার ধোঁয়া হয়ে শরীর পোড়ায়----
কখনও
কখনও গলি রাস্তার মোড়ের পাগল কুকুর হয়ে ওঠে----
তৃতীয় বন্ধনী র কাজ ঠিকঠাক পারি না----
সরলের ভাগগুলো
কষ্টে বুক চাপড়ায় আমাতে-----
আমি এক উজ্জ্বল ভোটার ----
কখনো শহরে কখনও গ্রামে মিছিমিছি “যোগ”এ মাতি
কিছুদিন পরে
সেই ফিরে আসি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পাঠ্যপুস্তকে---
জৈষ্ঠের
রোদে রূপকথার পক্ষীরাজ হাঁফাছে
প্রেমগুলো কুলপি -----গলে গরম জল
তবুও
চারহাত ঘামে ডুবে খেলে চলেছে “প্লাশ -মাইনাস”খেলা
একুশে মে
একুশে মে
--------
তারিখটির গায়ে বড় বড় টিকটিকি আঁচড়াচ্ছে------
রোদগুলো আগুন -----
বন্ধুত্ব টি সঙ্গমের জ্বালায় বুক চাপড়াচ্ছে-----
“ শিকল”ভাঙা যায় না
টেনে এনে ছবি ই
করা যায়-------
প্রচন্ড তাপ
প্রখর ইচ্ছা
মেঘগুলো সবে তঁার কাছে উড়ে গেল--------
জানি না বৃষ্টি আসবে কিনা?
একুশে মে
গরম মরুভূমির বালি
সে জল হয়ে ভিজিয়ে দিল-----
ভেজা ওড়নায়
খেলা করা এক বাবুই পাখি------
সর্দি ধরতেও
-----
পাখিটি অনেক বড় হয়ে গেল---কোল থেকে দূরে--- “অজানা ইগোরোগে ”আক্রান্ত শক্তিশালী মহিষ----
চারিদিকে একুশ তারিখের সিন্নী উড়ছে
ছেলেটি আর পাখি হবেনা---
প্রতি বছরই মহিষ আসে--- বাঘ আসে---- সিংহ আসে ----
কিন্তু ,
আমার আদরের বাবুই
পাখি আর ফিরে আসে না-----?
প্রেমে একবারই পাখি হওয়া যায়
বারবার নয়--?
মাইনাস--২
পাটিগণিত হেঁটে চলেছে
দুই দিকে বড় যোদ্ধার সৈন্যদল
একদিকে আলেকজান্ডার আর একদিকে নেপোলিয়ন
বীজগণিত কাঁপতে
থাকল
মাইনাস প্লাশ কে সংগী করে ঝুপড়িতে লুকালো
দুই
রাজাতেই পরাজিত
কেননা সৈন্যদের পেট খারাপ ছিল
“মাইনাস”
মাইনাস---৩
প্রেমিকটি
সামনে দাঁড়ালে পুরো গণিত বই ডানা ঝাপটায়
মন
কাঠবিড়ালী
লাফিয়ে লাফিয়ে স্বপ্ন খায়
বারবার “মাইনাস”আবেগ শক্ত কাঁঠালের
ছাল
আঠাগুলো ভাগ হয়ে যায় কান্নাতে
চিট টানে একগুঁয়ে
রাবার
কালি ছিটোবার যো নেই----------------
বারবার ফিরে আসা এই প্লাশ--মাইনাসের অঙ্কে------
নতুন বছরের কবিতা
লাল ধর্মের সেপটিপিনের সূঁচালো অংশ
দৌড়চ্ছে------,
ঝুরি কেটে নেওয়া বটগাছগুলো রেললাইনের পাত
সূঁচের মাথায় বসে থাকা গোলাকার চক্র গীর্জায় পায়েশ
খুঁজছিল---
হঠাৎ দাড়ি দেখতে পেয়ে কাবাবে মুখ লুকালো---
ফড়িংটির কোন রং ছিল না
---
পৈতা খোলার পরই লাল লঙ্কায় ডুবে সিদ্ধ চিকেন---
বিষ শুষে নিয়ে সাপ পাশ দিয়ে হাই তুলল ----
প্রেমিকার হিন্দু লকেট পরানো প্রেমিক এলো ,গোঁফ এলো না---
সকালের পর সাদা টুপি দেখলাম ---
চোখগুলো আঙুরফল
গাল চুলকোচ্ছে
ফুলগুলো কবিদের বিছানায় খেলছিল
-----হাসছিল ঘৃণা অপমান বালিশের উপরে সর্টলাইজড স্টিকার
রক্তগুলো বেরিয়ে এসে ভালোবাসা চাইল আর আলিঙ্গন---
সংগে সংগে ই সেগুলো “পয়লা বৈশাখ” হয়ে
গেছিলো---!