পৃথা
রায় চৌধুরী
এখন কবিতা
তোমার তাতে
কিই বা এসে যায়
যখন দেখো, সমস্ত শব্দেরা আমার
শহর ছেড়ে
তোমার সাথে
ঢুকে পড়েছে
স্বেচ্ছায়
বেছে নেওয়া তোমার একাবাড়ি।
কার মনে পড়ার
কথা নয় প্রশ্নের উত্তরে
আমার নাম আসে
নি তোমার মনে...
ধন্য ধন্য
বর্ষা নামে বারুদ সমেত
যে গান শুনতে
চেয়ে চলে গেছ
সে গান ঠোঁটে
রাঙিয়ে বেড়াই
কানে পরে
থাকি, তোমার প্রিয় 'নন্দর মা'
তোমার দিয়ে
যাওয়া স্বরে;
এখন ছাতার
নিচে হাঁটি
রোদ পেরিয়ে
বৃষ্টি নেয়ে
তোমার
থুতনিতে কটা সাদা গোনার অপেক্ষায়...
দিনক্ষণতারিখের
গল্প,
তুমি এলে
হবে।
জলছবি
মেঘ ঘনিয়ে
এলে,
দেখা যায় না
সীমানায় বসে,
"আয় বৃষ্টি ঝেঁপে" ভ্যাপসা সোঁদায়।
মেঘমল্লারের
পর্দা পিছে
চা দোকানী
ভরন্ত ডোবায়
ভিজে বাসন
ঘষার কালে,
গুনগুন
চামেলি, শীলা...
টিপটিপ
রাস্তা গুঁড়োয়
সর্বাঙ্গ
কাদা ধুইয়ে বলে ওঠো,
ভিজিস পাগলীর
মতো;
আপাদমস্তক ঝরে
যাওয়া মেনে নেবো
শুধু, আজ ঝমঝমের নাম তুমি
হোক।
ভাঁটা
কতো কিছু করা
বাকি থাকে, আক্ষেপ করাও যায় না।
সেখানে অন্য
কারুর আক্ষেপ ফুটেছে বহু আগে
এভাবে পেয়ে
পেয়ে না পাওয়া
বা না পাওয়ার
মাঝেই পেয়ে যাবার জিত
কখনো বৃষ্টি
আসছে বলেই উচ্ছ্বাসেও ভাঁটা
একটানা হাসি
সয় না,
গরম ভাপের
চাদর পেতে অনিদ্রার ঈশ্বর
চেয়েচিন্তেও
একমুঠো বারিশ বাঁধতে না পারা
নাকি এভাবে
বাঁধা বারণ
উঠোন ছাড়াও
অনেক অপেক্ষা
যেখানে
প্রয়োজনের দখল
হঠাৎ
অপ্রয়োজন জোয়ারের বেলা শেষে...
স্থায়ী নিবেশ
আপাদমস্তক
ভিজে যাচ্ছি একই বৃষ্টিতে
হঠাৎ ধারা
বদলে ফেলতে বললে কি সহজে বদলে যায়
তামাদি নদী, গাছের অনাগত পাতা বা
স্নেহের আলিঙ্গন?
আমার শহরে
একই নামের বৃষ্টি আসে
বুড়ো বটের
ঝুরি বেয়ে বা বক্স জানলার গ্রিলে
গড়িয়ে পড়ে
ধূসর রোমাঞ্চ
কখনো অবাক
বলে ওঠো,
অন্য ধারাকে
একটিবার অন্তত ছুঁয়ে দেখো
যারা গল্প শোনার
ভিড় জমিয়েছে, তাদের দায়ে
এপারে গুজব
ফিসফিস একান ওকান
ওদিকে
নির্বিচারে মেলার মাঝে চেঁচিয়ে বলেছি,
তকমা দেবার
আগে হিম্মৎ দেখি তোমাদের!
সত্ত্ব
ঠিক যেখানে
ছুঁয়ে যাও,
সেখানে কবর
দিই চাপা দমবন্ধ
কখনো সমুদ্র
মন্থনে ব্যস্ত হতে হতে
অতীতের নখ
কুড়িয়ে আঁচড় বোলাও
তোমার
মালিকানার জমিতে
এ জমি
আলবিহীন ভাগ করেছে ফলক
মালিকানায়
লেখা থাকে স্নানঘরের ঝর্ণাচলন
অশ্লীলতা
ভাবতেই পারে কপালভাঁজেরা
দায় দাসখত
পুড়ে গেলে
সমস্ত বৃষ্টি
ঝেঁপে আসে মরুদুপুর জুড়ে
নাম জেনেও
নাম খোঁজার বিলাসে
অপেক্ষায় শস্যস্নান...।