শিল্পী
গঙ্গোপাধ্যায়
মনটি জানালায়
বৃষ্টি হলেই
বন্দি আমি
মনটি জানালায়
...
দুয়ার কিন্তু
খোলাই জেনো
এসো
বৃষ্টিমাখা পায়ে ।।
স্মৃতিকণা ...
জানলার কাঁচে,
মসলিন মসৃণ
বৃষ্টির কণা
স্মৃতিকণা
হয়ে ঝরে...
কিশোরীবেলার 'না' বলে ফিরিয়ে দেওয়া
কিশোরের মুখ
মনে পড়ে ...
মনের দেরাজ
খুলে যায়
বৃষ্টির কণা
ধার নিয়ে,
নিঝুম দুপুর__
মেঘদূত লিখে
চলে।।
বৃষ্টিস্নাত
ভিড়ের মাঝে
একলা হাটি
ভিজছি আমি
একলা একা,
সকাল থেকে
অঝোর ধারায়
সন্ধ্যা হল
তাও থামে না ...
বৃষ্টি তবে
ভুলেছে পথ?
আমার কিন্তু
রাস্তা চেনা,
ইচ্ছে করে
কুড়িয়ে নিতে
বৃষ্টি ভেজা
কৃষ্ণচূড়া ...
আসবে বলে কে
এলো না
মাপছি বসে
বিষন্নতা,
মেঘ ডাকছে
নতুন করে
সাড়া দেওয়ায়
আমার মানা...
আমার এখন
অসুখ ভারি
সুখের সাথে
আজকে আড়ি,
ডাকব যেদিন
আসতে হবে
গুছিয়ে রাখি
পাপড়িগুলি।।
বন্ধু চল...
কাজের সাথে
আজ আমার আড়ি
মেঘের সাথে
ভাব
মেঘের সাথেই
ঘুরবো ভেবেছি
সারাদিন -
সারারাত ।
যখন যেমন
ইচ্ছেটি হবে
ঝরব বৃষ্টি
হয়ে,
অথবা শুধুই
মেঘে মেঘ জমে
ঘনীভূত হব
রয়ে ।
ভাসতে ভাসতে
যদি কোনদিন
তারাদের দেখা
পাই,
মুঠো ভরে ঠিক
লুকিয়ে রাখব,
সাজিয়েই নেব
গায় ।
আবার যেদিন
সূয্যি-ঠাকুর
ছড়াবে সোনালী
রোদ
তাকিয়ে দেখিস, সঙ্গে এনেছি
নতুন একটা
ভোর ।।
রিমঝিম...
রিমঝিম ঝিম
ঝরছে বৃষ্টি
ঝরুক না
বৃষ্টি যদি
আমায় ভেজায়
ভেজাক না...
ভিজতে চাইলে
বাইরে এসো
মনতো স্বাধীন
একলা হাঁটো ।
সন্ধ্যা হলে
ফিরব ঘরে
ইচ্ছে হলে সঙ্গে
থেকো
চাইলে তুমি
মুছতে
পারো
জলের কণা
ইচ্ছে
মতো..
আমি কিন্তু
সাজিয়ে রাখি
বৃষ্টি ভেজা
কান্নাগুলো
মেঘের ভেতর
লুকিয়ে রাখি,
স্বপ্নে দেখা
স্বপ্নগুলো ।।