মিজান
ভূইয়া
পুরনো দৃশ্যের কবিতা
এরকম কিছু
ছায়া
আছে বলে
নদীময় সবুজে জল পান করি।
আইসক্রিম
ওয়ালা বসে থাকে,
আমার প্রিয়
ফলগাছগুলি উদিত হয়.....!
হাতে
ফুল নিয়ে
হেঁটে যায় শাড়ী পরিহিতা বাতাস! অল্প
বৃষ্টিতে
ছুটোছুটি , গাছের সাইনবোর্ডগুলি
শব্দ করে
নড়ে।
নাগরিক আকাশে
আমি
এক টুকরো মেঘ, পুরনো দৃশ্যে বসে
বদলে যেতে
থাকি।
নিজেকে নষ্ট করি
আমি একটু বয়স
দেখাতে চাই,
চাই
আমার
সাতচল্লিশ বছর ছড়িয়ে পড়ুক
শাদা শাদা
পাখির মতো
চারিদিকে......
পাতা উল্টাই
আলো,
পাতা উল্টাই
অশ্রু , শ্যাম্পু করা চুলেরা
স্মৃতিমুখি হয় বাতাসে।
আমি একটু
থেমে
যেতে চাই, একা থাকতে চাই।
ঘুড়ি উড়াতে
চাই ছাদে, নাগরিক রাতে.....!
কখনো
ইচ্ছে করে
ভেঙ্গে পড়ি, ভাস্কর্যের মতো
ভেঙ্গে পড়ি,
নিজেকে নষ্ট
করি।
বাংলাদেশ হাসে
কাকের মতো
উড়ে উড়ে
খুঁজে পাই
জলতৃষ্ণার নদী.....
আমার ছোট
বুকে বয়ে যায় মেঘ, ঝরে পড়ে
বৈশাখের
অক্ষর.....
গানে গানে
বেলা বাড়ে, কিছু গাছপালা নিয়ে
একাকীত্ব
নিয়ে
আমি দুপুর
যাপন করি। ঘাসের গন্ধ নেই।
চারিদিকে
ডাহুক ডাকে, ঘন বন মুখরিত হয়,
পাকা ফলে
প্রকাশ পায় মনোনির্জন স্মৃতি.....
মাটির
উর্বরতা মাখি
প্রাণে, টের পাই
চোখের ভিতরে
বসে
আমার বাংলাদেশ
হাসে.....!
আমার আকাশ
শাড়ী পরিহিতা
তুমি
কার কাছে দু'হাতের বেলা রেখে আসো
খুব জানতে
চাই।
ছোট ছোট
অপেক্ষায়
ঈশ্বর বসে
থাকেন, গান বাজে,
তোমার আদরে
আমি স্নাত হই।
ধরো আমার কোন
ধর্ম নেই,
গুচ্ছ গুচ্ছ
কবিতায় যাপন করি
জীবন, মাঝে মাঝে মালা
গাঁথি,
কিছু পাতা, কিছু রঙ, কিছু ছবি
নিয়ে
আমার আকাশ
নিয়ে একা বসে
থাকি।
তুমি মেঘে
মেঘে, ফুলে ফুলে, বারান্দার
ঠান্ডায় বসে
আমাকে ডাকো.....
জানতে চাই,
শাড়ী পরিহিতা
তুমি
কার কাছে দু'হাতের বেলা রেখে আসো
ঈশ্বর সময়
দেয়নি
না তোমাকে, না আমাকে।
আঙুলবন্দী
শস্যবীজগুলো সারারাত
কথা বলে মাঠে
তুমি এত চুপ কেন
যখন
মাথার ভিতরে
গান গায় বহু বছরের পথ
টের পাই
শ্বেতপাথরের
সমৃদ্ধ মনে কোন অভিমান
নেই
তবুও কথা
বলতে হাতের ঝিলিক অন্যরকম
গন্ধ ছড়ায়
একাকীত্বের
বাতাস বয়.....
কপালের
চুলগুলো ইচ্ছেমত উড়ে
সন্ধ্যা হয়, পাখি ডাকে, কিন্তু আমাদের আর
ফেরা হয় না
আঙুলবন্দী হই
দু'জনে
বিনিময় করি
নদী ও আকাশ
দু'হাতে সমুদ্র নিয়ে
পুড়ে যেতে থাকি তোমার
ভেতরে
আমি
আমার ভেতরে তুমি।