সুকুমার
চৌধুরী
বাঁশীওয়ালা
একজন বাঁশীওয়ালাকে জানতাম । প্রকাশ দাস ।
আজকে দোলের দিন, চলে গেলেন । বড়ো সুন্দর
বাঁশী বাজাতেন । খননের রবিঠাকুর উৎসবে কতবার.......
খুঁজে খুঁজে আমার সীমান্ত বাড়িতে
এসেছিলেন একবার, মনে পড়ে ।
রণজিৎ ফোন করেছিল
শ্মশান থেকে ।তখন সব
শেষ । রাস্তায় পুলিশী বন্দোবস্ত । আজ হোলী ।
অনেক রকমের রঙ আনা হোয়েছিল এবার । তোমার
জন্য । তার জন্য । সবার জন্য । সবার প্রিয় রঙ ।
অথচ খেলা সে রকম হোলো কই বদলে
মনোজের কাঁসার গেলাসে
চনমনে ভাঙ্গ খেয়ে বুঁদ হওয়া গেল বেশ
বিদর্ভের গরম দুপুরে......
মাথার ভেতর
সরষে
কোনো ব্যাপারটাই ঠিক মসৃন হলোনা
আমারজীবনে । সবসময়
এমনটাই কেন হ্য় মাঝে মাঝে ভাবি আর
আমার সেই হারিয়ে যাওয়া সাউথের বন্ধুটার
কথা মনে পড়ে । মনে পড়ে অরুণকুমার এসে
মাঝে মাঝে আমার টেবিলের সামনের চেয়ারে
কেমন বসে থাকতো আর আমার ব্যস্ততা
দেখে হাসতো খুব । কখনো শান্তি পাবিনা তুই ।
এ রকম ভাবে কাজ করতে করতেই একদিন
পটল তুলবি শেষে । তা তুলি, সেটা না হয়
ভালোই হবে । ডাই ইন হার নেস বলে একটা
চমৎকার কথা আছে ইংরেজীতে । কিন্তু
সব কিছুতেই এত হ্যাপা কেন পোয়াতে
হয় আমাকে সবসময় ।
নাকি আমার পায়ের
তলে নয়, আমার
মাথার ভেতর সরষে ভরে দিয়েছিল কেউ
সেই ছোটবেলায়, আর আজ এতটা বয়স হো্লো
ওই ঘুর্ণি ,ওই ঘনচক্কর
খতম হলোনা আজও, সেই কথা ভাবি..
ছন্নঘুম
শুয়ে তো পড়িনি
শুধু এক ছন্নঘুমের দেশে
কে যেন এনেছে টেনে ।
ছেনি ও ঠোকরগুলি রেখে গেছে
শুধু এই কুয়াশার দেশে
ঠুক ঠুক ঘুমঘোর । তনিক কাঁপন ।
আলোক পাঠাও । অন্য কোন গান ।
এসো । তুলে নাও ছেনি ও ঠোকর।
শুয়ে তো পড়িনি । ভুলিনি উড়াল ।
শুধু এক ছন্নঘুমের দেশে
কে যেন এনেছে টেনে
ছেনি ও ঠোকরগুলি রেখে গেছে । নাও
চারিত্র
দাঁতের ফোঁকর যেন ।
ফেঁসে যায় । লেগে থাকে মাংসগন্ধ ।
সুগন্ধি রুমালে ঢাকি দুর্বলতা ।
চোখে সানগ্লাশ ।
কত মাংস চেয়েছি জীবনে ।
কত নষ্ট রাগ । মেটেনি
আত্মার খিদে ।
দাঁতের ফোঁকর যেন
অন্তরা
কথাগুলি শেষ হয়ে আসে । পালাতে পালাতে
আমরা ক্রমশঃ হয়ে উঠছি সন্ধিগ্ধ ও শব্দহীন ।
খাটো করে ফেলছি জমি । দীর্ঘদ্রবণের দিন
শেষ হয়ে এলো ।
কতদিন সম্মিলনী নেই । ইডিয়টবক্সের সামনে
ঘন হয়ে উঠছে আমাদের লিমিটেড অবসর
__________________________________