সোনালি পুপু
পদ্মপাতা
পদ্মপাতা
সোনালি
আদর তুমি
ব্যথার গাঢ়
লালচে কাল
চোখের জল।
আদর আমার
পদ্মপাতায়
জলের ফোঁটা
মন কাজল।
নিষ্পেষিত পাপড়ি
গোলাপ গন্ধ
কত মন বাহার
দু হাত পেতে
বিষের বাঁশি
বুকের মাঝে
অলংকার।
বরাভয়
তোমাদের লেখালিখির জগত থেকে
সিডাকশনের হিসেবটা আমি ইচ্ছে করেই বাইরে রাখি
কত ডিগ্রী ঘাড় ঘোরালে লোকে কতটা ঘায়েল
বা ক ফোঁটা হিরের ঝিলিকে
ক্লিভেজ পাশুপত অস্ত্র হয়ে লাশ ফেলে দেবে
সে খাতাটা বন্ধ করে রাখি।
যাও কবি।
ছিলা খুলে রেখেছি গাণ্ডীবে
কোন অস্ত্রে কোন পশু বধ হয়
উমা থেকে জগদ্ধাত্রী হয়ে উঠতে উঠতে
সব দুর্গা জেনে যায়।
ইলিউশান
যখন তুমি মাংস কাবাব খাদ্য নজর
আমার আঙুল পাপড়ি পাতায় সমাচ্ছন্ন
নতুন প্রজন্ম পায় অলীক সংখ্যা বিজোড়
মুঠোর ফোনে মৎস কন্যা হিংস্র বন্য
আলোর ধোঁয়া লাল পেয়ালা সায়াহ্নে ঢল
শপিং মলের বাষ্প মুখর গিলতে থাকে
হালকা ফুলের মন ভাবনায় ডুবছি অতল
আরাম কেন কেই বা বল খবর রাখে
কাজলা টানে ঠোঁটের তিলে আবির রাগ
শ্বেত কোরক চন্দনের হাল্কা দাগ
গন্ধ ছুঁই রাতের জুঁই বর্ষা জল
নেই স্বজন তবুও ওম মায়াবী ছল
একলা
আরাম
একাকিত্বকে চাদরের মত জড়িয়ে
রাস্তা হাঁটি
সবাই পালায় একলা থাকার থেকে
আমি কিন্তু বেশ আছি
রাস্তা পথ চড়াই উতড়াই
দিব্বি আছি নিঃশব্দে
মানুষজন চারদিকে হাঁচোড় পাঁচোড় করে
পালাচ্ছে
কেবলি
একলা থাকার থেকে
আমি খাদের ধারে দাঁড়িয়ে
কুয়াশা দেখছি
আমার কোন তাড়া নেই
পৃথিবীর যেখানেই যাই
সেই তো একলা আমি
ঊর্ধ অধঃ ঈশান নৈঋত
ওকেই লণঠন করি হাতে
ওই একা একা থাকা
পকেটে রাখি টমেটোর মত
টক মিষ্টি দুটো ছোটটো মুখ
সংসারের কাজ
তার পর পথ হাঁটি
একলা থাকা আমার হাত ধরে
পাশে পাশে হেঁটে চলে।
অন্য
নিষাদ
হে নিষাদ, তুমি তীর ছুঁড়বেই জানি
আতংকে কাঁপে বুকের ওম পালক
তার সপ্তকে বেজে ওঠে যত ব্যথা
যত ভয় পাওয়া বিচ্ছেদ নাবালক
তুমি যন্ত্রণা তাই তো তুমিই প্রাণ
প্রান্তিক আমি শিউরে শিউরে বাঁচি
কবির পায়ের কাঁচে কাটা লাল ধারা
রক্তের ছাপ ফেলে মৃত্তিকা ছাঁচে
রং তুলি আর শব্দ ছন্দ ফুল
ফোটাতে বসেছে বিচিত্র মালাকার
উপহাসে তুমি অলখ্যে বাঁকা হাসি
"মা নিষাদ " থামো ভয় দেখিয়ো না আর
কবিও মানুষ দুবেলা অন্ন ক্ষুধা
তৃষ্ণার জল ক্লান্ত দিনের বশ
ঘুমের অবসাদ হাতড়ে খোঁজে আদর
হে নিষাদ, তাকে দিও বাল্মীকি যশ।