সুকান্ত
মজুমদার
*
ইচ্ছে ছবি *
একটা পেন্সিলের অনবদ্যতা
আর শিশু হাত
যেখানে সেখানে যাতা লেখা
কান্না ছবি, মধুরাত ভাষাহীন
দাগ দিতে পারা -
না বোঝার মুক্ত শৈশব।
আজ ইচ্ছের বারান্দায় পোষ্য
হামাগুড়ি দিতে হচ্ছে -
কিছুটা অসাম্যের চকমকিতে
আগুন জ্বলা কাব্যমুখ
কালি মাখে।
এখনো রঙ চেনে
ঢঙও বুঝে -
শুধু আমিতে বাসকরি বাচালতায়
যারা বলেনা, দৃষ্টিহীন বিনম্রতা
মুগ্ধ ছায়াময় অনেকে।
নধর দেহে বিষাক্ত নীল চুম্বন
দারুচিনির বনে কাষ্ঠের লোভে
বণিক হয়ে ঘোরে।
* বিষ*
সুনীল আচ্ছাদনে
বেসামাল রাত
মৃত বিবেক নিজের মত
অন্ধকার প্রসব করে চলেছে ,
জরাজীর্ণ নিয়ম
উন্মুক্ত ছোরা অগ্রাধিকারে
সরম বিসর্জিত বুদ্ধি ভ্রমর
নীতি শয্যায় শায়িত
বিবর্ণ ফুলদলে মৌ অভিসারে,
আলগোছে রাখা
নধর যৌবনে উগরিয়ে
যায় রক্ত বিষ।
*দ্বীপ *
কে কার কথা ভাবে?
যেন অনাবিষ্কৃত সভ্যতার
কোল থেকে খসে পড়া দ্বীপ,
ভাষাহীন সূর্য চিরকাল এখানে
অন্ধকার নিবিড় নিবেদনে
কারা কখোন ভাষা দিয়েছিল
চেতনার বৈরাগ্যে -
আজ মৃতপ্রায় স্মৃতিসার
শুধুই অরণ্যে দিক ভ্রষ্টের
প্রলাপ যেন, প্রমোদ আমোদে।
* রাত
নিঃসৃত *
মৃত্যু প্রায় জোর দখল
বেঁচে ওঠার আর্তনাদ
স্তূপাকার সেদিন, আজও
বিনম্র চুঁইয়ে পড়া কান্না।
বহুল সংলাপ বিনোদিনী
ঘাটের ভাটিয়ালী
উদ্দাম বুকে ভাসমান
ঠাঁই দিয়েও দেয়নি, এখনো।
শুধু শুধু খেলার মাতন
আজ হতাদৃত চেয়েই থাকা
ঝরাফুলের নিঃস্ব গন্ধ প্রবাসী।
*দখল*
বন্য শোভিত বাদাবন
বাতাসে মধ্যযুগীয় জ্বলন
বাদশাহী লাস্য লস্যিরঙ্গে
চেটে পুটে লালিকা কুৎসা -
অস্তিত্ব সম্বরনে মহানীতি
উবচে ওঠে আনাচে কানাচে!
সাদা পক্ষী ছানার ডানায়
রঙ মশাল জ্বলে ওঠে
লঙ্কা পোড়ে, জ্বলেনা রাবণ
দীগন্তে আত্মসংবরণ
দখলের দলিল ওড়ায় -
ধোয়াটে অবসাদে কালো
ঘোলা জালে মাছ ধরারহিড়িক
তখন বুদ্ধি অবরুদ্ধ
মুক্ত চিন্তন শুধুই স্লোগান।