শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

নুরুন্নাহার শিরীন





নুরুন্নাহার শিরীন

বৈশাখী কবিতাজাল।।
*************

এক।।

একদিন চৈতালী রোমাঞ্চে ভেসেছিলো চোখ।
একদিন চোখের পলকে মনোসংযোগ।
অতঃপর মেঘলা রঙ সঘন ঘুমের ঘোর।
ধারণাতীত ধবল সোনাঝুরি সুখী ভোর।
দারুণ দুপুর এসে চুপিসারে পাশে বসেছিলো।
বিকেল নামার আগে টুপ করে ভাব খসেছিলো।
তখন ভাবের নামে বাতাস কবিতাময়।
     তখন বোশেখ মাসে সীমানা আকাশময়।



দুই।।

জোছনায় ছেয়ে যাওয়া জানলাতলে -
একলা একটি শিখাময় ছায়া কথা বলে।
তাহার না বলা কথামালা কে আর জেনেছে !
তাহার গানের দামে আগুন কিনেছে।
গানগুলি তাই পোড় খাওয়া বেলায় -
ধূলিমূল্যে বিক্রি হয় পাড়ার মেলায় ! 
তাই আমি যাই না একেলা এই অবেলায়
তোমাদের হাটবাজারের হারের খেলায়।





তিন।। 

তিনকাল প্রায় যায়-যায় তোমাদের সনে -
কত কী হারিয়ে বসে আছি উদাস আপনমনে
আজ কী আমার তবে ছুটি চিরতরে?
আজ কী আমার তবে ছুটি চিরতরে?






চার।। 

অথচ আমার বাকি বিস্তর দুস্তর কাজগুলি -
অসীমে লুকিয়ে রাখি উলুঝুলু আশাগুলি।
অই যে আহত পাখি তারও ডানায় ছিলো
ভালোবাসার নরম দোলায়িত আলো -
সেসব বিকিয়ে দিয়ে যারা লাভবান হলো
তাদের খেলুড়ে মুখ লোভে ঝলসালো।

    একদা এদেশ কত চৈত্রের শেষান্তে থেকে
বৈশাখে উত্তাল গানে ঢেউ হয়ে নিতো ডেকে ... 
আজও ডিগম্বরীতলা স্মৃতিপটে আছে জেগে ... 
সে খুব সুখের কাজলের মতো নিই মেখে ! 

 



পাঁচ।।

কবিতা বলতে সেই পত্রবৃন্তে শিখাতুর কাল  ... 
কী সব শিকড়জাগা জলরঙ একতাল -
একাকারের মিশেলে আজও সে -
কালের চাতালে হৃদয় বাজাতে আসে।
সে আসে এপার হতে ওপারের ভাষা -
সে আসে এষণাময় আগুনিয়া আশা।