জ্যোতির্ময়
মুখার্জি
নেমে এলে বৈকালিক রোদ
এই ভাঙনে বিশ্বাস রাখতে
পারো
জল ছিটিয়ে খেলা করে
চারটি শিশু
নদীর পাড়, ভাঙা স্রোত
ক্ষয়ে যাওয়া পাড় বেয়ে
নেমে এলে বৈকালিক রোদ
কথা চুপচাপ বা হয়তো নীরব
স্রোত, ঢেউ, পাড়
এবং শিশু
রঙিন পালক শেষে দীর্ঘতম
ওম
মেঠোপথ বেয়ে ফিরে এলে
বাসর-বিকাল
.
রঙিন পালক শেষে দীর্ঘতম
ওম
.
মেপে নিলে আমাদের কৌশলী
সাঁতার
.
ব্যতক্রমী মৃগয়ায়
এলায়িত দৃশ্যসুখ
‘ছুটুবেলাই সব বেলা’
এই মাঠ, এই পুকুর-ঘাট, এই বাঁশ-বেলা
চোখের আড়ালে
অদৃশ্য করেছি আমাকে
নুন মাখা কাঁচা আম, মাঠ পোড়া আলু
ফিরে এলে শরৎ
নতুন রঙের গন্ধে ভেজে পাড়া
ওইখানে আমার ‘ছুটুবেলা’ আছে
শব্দ ও বিড়ি
শব্দ আর বিড়ির মধ্যে
খুব একটা তফাৎ দেখিনা
একটি একটি করে হাতে তুলে
নিয়ে বিড়ি
আয়েশী কানের কাছে ঘষে, রগড়ে
পড়ে নিতে পারেন ভাষা
অতঃপর, অভিজ্ঞ ফু’তে উড়ে
গেলে ধুলো
.
আগুন
.
কাঙ্ক্ষিত সুখটান
বুকপকেট’টা বেশ ভারী
মেয়েটি যখন মেঘ হতে
চেয়েছিল
বা মরসুমী বৃষ্টি
আমি তখন ছাতা হাতে মেপে
নিচ্ছিলাম
ঘন্টার কাঁটা, মিনিটের কাঁটা
এমনকি সেকেন্ডের কাঁটাও
ছাতার নিচে সুখী ভাতঘুমে
বুঝতেই পারিনি
কখন মেঘ জমেছিল ভেজা
কার্ণিশে
দিবাস্বপ্নটা ঠিক স্বপ্ন
ছিলো কীনা জানিনা
কিন্তু আমি ছিলাম
একটা তেঁতুল গাছের নিচে
বয়স আমার ছয় কী নয়
নয়ছয়ের বয়সটা থেকে
অনেকদূরে
হাতে তুলে নিচ্ছিলাম পড়ে
থাকা ঢিল
আশেপাশে ঘুরঘুর করতে
থাকা
বালিকাটির হাত ভর্তি
তেঁতুল'ও
চালান হয়ে যাচ্ছিল আমার
পকেটে
হঠাৎ ঘুমটা ভেঙে গেল
বুকপকেট’টা বেশ ভারী