ঝুমা
মল্লিক
আনন্দের জহর
মৃগাক্ষী মৃগের খোঁজে
বনের মাঝে ।
শিকার করবে বলে, শিকারী সাজে
বনের মাঝে প্রকৃতি উৎসবে
মেতেছে
বাতাসে ভাসছে প্রেম, গন্ধে আতর ।
রুপবতীর রুপে মোহিত, রাজা আর রাজ্য,
ভালোবাসা বইছে প্রাসাদের
আনাচেকানাচে ।
লোহিত রঙে রঙিন রুপবতীর
অন্তরে বাহিরে,
রূপসী নারী, যন্ত্রণা রুপের, দৃষ্টিকোন।
ধ্যানে শিব। পূজায় শিব
লিঙ্গ ।
রুপের শিকারে শিকারী
বেশে,লালসা চোখ।
হার না মানা নারীদের দল, হার মানেনি
জয় তাদের অন্তরে বাহিরে।
জয়ন্তী রুপে।
ভালোবাসার রঙ রাঙিয়ে মনে, উৎসব চলে
জহর,ভেসে গেছে কত শত নারী?
হার না মানার আনন্দ বুকে
।জ্বলছে
ইতিহাস সাক্ষী , ভালোবাসার জয়।
ভালো থেকো
ভালো থেকো গাছ ঝরা পাতা
আজ।
ভালো থেকো মেঘ ভেসে
যাওয়াবেশ।
ভালো থেকো নদী বয়ে যাও
যদি ।
ভালো থেকো পাখি গান গাও
যদি ।
ভালো থেকো পথ বাঁকে
বাঁকে খেলা হোক ।
ভালো থেকো রঙ রাঙিয়েযাও
মন।
ভালো থেকো মাছ জলে জলে
বেশ ।
ভালো থেকো হাওয়া ভেসে
ভেসে যাওয়া ।
ভালো থেকো বাড়ি ভালোবাসো
যদি ।
ভালো থেকো বই শেখাওঅনেক
।
ভালো থেকো গান মন্দিরে
ভজন।
ভালো থেকো শিশু খেলাধুলা
শুরু।
ভালো থেকো বাঁশি সুরে
সুরে ভাসি।
ভালো থেকো মন ভালোবাসো
জন।
ভালো থেকো তুমি জীবন খুব
দামী ।
ভালো থেকো সবাই, ভালো থেকো
এক আকাশ ভালোবাসা
আকাশে চেয়ে দেখি,কালো ধোয়ার খেলা
দখলদারি চলছে, দখল এক আকাশের
যুদ্ধ ঘোষণা করেছে
যোদ্ধার দল।
একটি আকাশ , তোমার, আমার নয় কেন?
পাখিরা ডানা মেলে উড়ছে, উদ্দেশ্য একটাই
মেঘেদের দল খেলা করছে, উত্তরে পশ্চিমে
খোলা আকাশে খুলছে না মন, বন্দী দশা।
মেঘ,পাখি,
নারী তুমি কই? নূপুরের
স্বাদ ।
সময়ে খেলা করো, অনুমতির ডায়েরি দেখো
বাজনা বাজে ওই, মানবে না আর সই
আকাশেরমায়া চোখে, ভালোবাসার আকাশ
আকাশ আমার ও, উন্মুক্ত আকাশের মায়া ।
ক্রীতদাসী মন
ক্রীতদাসী মন বোঝেনি
জীবনের মায়া
কেনা বেঁচা চলে মাঠে
ঘাটে, চৌরাস্তা জুড়ে ।
দর কষাকষি চলে,হিমসিম খায় ক্রেতা বিক্রেতা
মন ভাঙছে,ভাঙন চলছে অবিরত।
দাসত্বের গন্ধ মাখা মনে, দাসত্বের মায়া
জগতের নিয়মে,মানুষ জাতি একটি জাতি
তবুও কেন ভেদাভেদ নারী
পুরুষ বলে ।
সমান্তরাল হয় না কেন পথ?
প্রভু রুপে তুমি ভাতে জলে
রেখেছ বটে,
দাসী সাজিয়ে বেসেছো ভালো
।
রাতে দিনে খেটে খাওয়া মন
,অভিশাপ কি?
পুরুষ তোমার কিসের এত
অহংকার
জন্মেছ নারীদেহে, তবুও কেন কুসংস্কারাচ্ছন্ন মন?
একদিন ছাই হবে, তবুও দম্ভ কিসের
ক্রীতদাসী মন জ্বলছে,অগ্ন্যাধান চলছে ।
জন্ম,নব জন্ম,জীবন হয়েছে দামী
জীবন্ত হোক জীবন
ক্রীতদাসী নই আমি
মানবী মন।
ফাগুনে অসুখ
মনে বাসা
বেঁধেছিলভালোবাসা, কুঁড়েঘর খানিক
ভালোবাসা শব্দটি
ভালোবাসার মত সুন্দরকি?
ভালোবাসা ছিল রুপ, রস,গন্ধ বিহীন ।
ফাগুনের বিকেলে ঝড়া
পাতার মতোই
বসন্ত এসছিল, বসন্তের স্বাদ ছিল না।
পলাশে রঙ ধরেনি কোনোদিন
তবুও ভালোবাসা জীবিত ছিল
বাৎসরিক।
খবর এসেছিল প্রাণপুরুষের
ঘরবাধার গল্প খানিক
চোখে জলের যন্ত্রণা, তবুও ভাসেনি নৌকা ।
যন্ত্রণার দাগ, পুড়ে গেছে মনমন্দির
বসন্ত আসে, বসন্ত ভাসে।
নতুন সংলাপে জীবন হাসে
অভিলাষী চোখের মাদকতা
যদি প্রেম হয়
তবে বিতৃষ্ণা সেই প্রেমে
বাসনা বাসা বাঁধেনি মনে
কোনোদিন
প্রাণপুরুষ কে পূজা
করেছি বাৎসরিক।
তবুও কেন ভালোবাসাতে
ঘৃণা ।