মন্দিরা
ঘোষ
মনে মনে
হাঁটছি তোমার হাত ছুঁয়ে
কথা বলছি তোমার
চোখে চোখ রেখে
টুকিটাকি সংসারকাজ
সামাজিকতায় তোমায় টানছি
ধুলোর ভেতর থেকে পুরু
অন্ধকার মুছে
সাজানো বইগুলির ওপর থেকে
সরিয়ে দিচ্ছি চাপা
বিষণ্ণতা
সবকিছুই আবছায়ায়
খন্ড খন্ড স্রোত তুলে রাখছি
আলাদা আলাদা বিস্তারে
খুলে রাখা জলসাঘর
গুছিয়ে নিচ্ছি
সবই মনে মনে
আমার অধ্যায়পথে
তোমার নিঃশর্ত
উপস্থিতিতে
টান
অন্তরটানে টানে না
তোমাকে
তবু সময় অসময়
অক্ষরমুগ্ধতায়
ভরে ওঠে বুক।
অনেক শব্দ ক্ষয়ে যায়
একটি শব্দের আশায়,
অনেক অপচয় মেলে রাখি
গাঢ় বিষাদের ছায়ায়।
তোমাকে টানে না তেমন,
তবু আদলটিকে
সকাল সন্ধ্যায়
ঝাড়পোছ করি রোজ।
জেগে থাকি কিছু অমৃতের
লোভে
আকাশের সমস্ত সূর্যরং,
মেঘের অমল অশ্রুগুলি
শূন্যতার থালায় সাজানো
দূরত্বগুলি মাপা
কথাজলের ধারায়
অসম্ভবের পর্দা সরিয়ে
অলৌকিক অবস্থান তোমার
জেগে থাকি কিছু
অমৃতের লোভে
প্রেমিক না হও
পরিত্রাতা তো হতে পার!
একবার শুধু একবার
চাইতে পার তোমার
অপ্রাপ্তির অনুভাব,
ঈশ্বরী হতে পারি নিমেষে
অথবা ভস্মীভূত হোক
আগ্নেয় উল্লাসে
আসক্তজীবন
তোমাকে ছুঁয়ে
তোমাকে ছুঁয়ে থাকায়
প্রবল জলোচ্ছ্বাস
ভরা উজানের টানে
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘরোদ
ভুল গুলো জড়িয়ে যায়
নানান সুরে
তীর যেমন ভালবেসে
ঢেউকে কাছে টানে
উদাসীন চুল উড়ে
কপালে জড়ায়
আঙ্গুলে জড়ানো থাক
সেই সব টান
তোমার নিবিড় খেলায়
গভীর অসুখে আমি
জড়াই আঙ্গুল
আনন্দধারায়
গভীর আদরে
অধিকার করি
তোমার রাত
ঋতুবাদল শার্শি
ছুয়ে থাকে
আবহের অন্তরঙ্গে
ভোরের গর্ভজল আঁকে
অন্ত্য শ্বাস
গভীরের কোন
জলরঙ ছুঁয়ে
নীল ঘোরগুলি
অনন্ত প্রসাদ
বিস্ময়ের অতিপাঠ
জুড়ে বৃষ্টি চরাচর
ঢেলে দিই দ্রাক্ষারস
প্রণীত গহ্বরে
অনুতে কোষে রক্তে
আত্মগত থাকি
মিলে যাই অসীমের
রতিধারায়