দিশারী
মুখোপাধ্যায়
লাইন
মেন বহুদিন হল
এবার ফের একটু কর্ড চাখা
যাক
ভাবে না থাকার জন্য
ভাবনারা
ছিল অসহায়
হায় হায় করতে করতে
প্রথম স্বরটি বিলাপ করে
-
না হতে সে চায়নি কখনো
বিধিরবিধানে নাকি
কপাল পোড়ে বিধিরও
নিধিরাম এবার সত্যই
সর্দার হবে
আর লাইন বদল তো
লাইনেরই নিজস্ব লাইন
সর্বংসহা
তোর মনের মধ্যে সুধা আছে
জানতাম
কিন্তু একটা ডাঁসা
পেয়ারার দাম
এই রাম রাম গন্ধ-অলা
বাজারে
কেউ দেবেনা
জানতাম জলে নামলেই আকাশ
অতলে গেলেই শৃঙ্গ
কণায় কণায় সমগ্র
কিন্তু
তুইও জানিস
অঙ্কুরিত মুসুর এখন মসুর
নয়
তোর কথা ভাবেন শুধু
স্টিফেন হকিন্স
উজান
আলো প্রসব করা জানালা
ভূমি আমাতে নতিকে
মাইলস্টোনগুলো মাইলের
সঙ্গে নেই
পরবর্তী যাত্রাগুলো এখন
লাউড
আর মালকোষ চালাকি
চানের পর জলের চুল
শুকানো
সংলগ্ন খুব নাজেহাল
যুক্তিতে
যুক্তিও চিটের জন্য
এখন আলোর নীল রমণ
আর নীল আরো নীলের জন্য
নগ্নতাকে পোশাকের ক্লাসে
আগরবাতি
আজ তুমি আমাকে আমন্ত্রণ
করেছ
আমার কাঁচাপাকা দাড়ি সহ
আমার রুগ্ন পাকস্থলী ও
অপরিষ্কার অন্ত্র সমেত
অনুমতি দিয়েছ আমার ডান
হাত বাম হাত
দুটোই সঙ্গে নিতে
আমার তাপ্পিমারা প্যান্ট
আর বোতাম বিহীন জামাকেও
বলেছ সখা-শ্রীদাম
আজ তোমার আমন্ত্রণে আমি
একটাকা থেকে হঠাৎ ষোলআনা
তোমার জন্য একটা উপহার
আনতে চেয়েছি
উপহার খুঁজতে পাড়ার
গুম্টি থেকে আমাজান ডট ইন
অমিল রইলো মনমত মনোহারী
তখন পথে পথে আর
পথ কেবল গল্প শোনায়
ভিন্নপথের
খালের জল পৌঁছায় নোনা
সমুদ্রে
পাড়ার তারা নক্ষত্ররাশির
অলীক
হাতের তালুতে আঁটে না
স্বপ্ন
কোনো উপহার কোনো
শিষ্টাচারহীন আমাকে যদি নাও
আমি তোমাকে চলে অচলে
আগরবাতি
হিমেল প্রণয়
কিভাবে ঢোকা যায় , কেউ কেউ ঢোকে , আমি জানতাম
নিজের চোখে অনেককেই
দেখেছি ঢুকতে
চি চিং ফাঁক বলতে পারলেই
দরজা খোলে মুহূর্তের জন্য
তারপর যা চাইবে সব তোমার
ঢুকে যাওয়ার পর তুমি
অন্তস্থ
যেখান থেকে গেছো ভুলে
যাবে
পিছন থেকে গুটিয়ে তুলে
নেওয়া হবে লালকার্পেট
তখন ফুটতে থাকো শুধু
নীলের মধ্যে
দূর থেকে অন্যেরা দেখবে
কমলা বাসন্তী সাদা
পরস্পরের মধ্যে ঢাল উপুর
পারদ নামতে থাকবে
হিমাংকের এক্সতম হিমে
ভালবাসা
সে তার নিজের আকার খুঁজে
বেড়াচ্ছিল
ফুলের পাপড়ি গুলো
প্রজাপতি হ'য়ে চারদিকে বিস্ময়ের ভিডিও
মৃণাল বেয়ে উঠে আসা মধু
পৌঁছে যাচ্ছে ঠোঁটের ফাঁকে ভাষার শরীরে
বর্ণহীন জলের মধ্যে
বৈদূর্য্য ভেদ করা সূর্যের আলো
একে একে জন্ম দিচ্ছিল
অসংখ্য রঙের
যে রাস্তা ইঁটে পাথরে
পিচে চাপা প'ড়ে গেছে
তার আজ নতুন ক'রে অঙ্কুরোদগম
বার্ধক্যে জড়ায় আর অসুখে
শুকিয়ে যাওয়া খেজুরগাছ
জিভের তলায় আঙ্গুল
ঢুকিয়ে বার করতে চাইছে অ্যাড্রিনালিন
ভাঙা বাড়ির ভিতের নিচ
থেকে বেড়িয়ে আসছে ভয়েস রেকর্ডার
এতো কিছু হচ্ছে যার
গিলি-গিলি-গে থেকে
সে তার নিজের আকার খুঁজে
পাচ্ছিল না
খুঁজতে খুঁজতে খুঁজতে
যেই তোমার প্রোফাইলে
অমনি সব পাথর লোহা জলে
ভিজে দিব্যি নরম