অরুণিমা মন্ডল দাস
মৃত কবিদের একটু জল দিন--
( উৎসর্গ শূণ্য দশক ও প্রথম দশকের
কবিবৃন্দ)
শোকসভা
কবিতাপাঠ
ছবিতে মালা
দু
চার কথা
চোখে জল
বেহায়া জীবন
বঁাচছে দুধভাতে
একঘেয়ে সংসারে
জীবনানন্দ দাশ
মনীন্দ্র গুপ্ত
চুপচাপ
জেগে আছে
পাতায় পাতায়
কালো অক্ষরে
চুপ--আত্মাগুলোএকসংগে বসে
শুনছে---
হাসি --
কান্না----
ভেঙানো--
উপহাস---
দলবাজি
নারীবাজি
নরবাজি----
গলাবাজি
পড়ছে----
আনন্দবাজার পত্রিকা
গণশক্তি
প্রতিদিন
আজকাল
মিডিয়া
পুরস্কার
হাততালি
সভাঘর
শুঁকছে-----
সাহিত্যের ঝাঁঝালো গন্ধ
পেঁয়াজের ঝোল
নলেনগুড়ের
পায়েস
জন্মদিন
মৃত্যুদিন
সাজগোজ
তিক্ত স্মৃতি
নবাগত অপমান
পাঁজর
ভাঙছে
আস্তে আস্তে হৃৎপিন্ড নড়তেই
বিমর্ষ কাব্যজগতের বক্ষস্থল
বৃক্কদুটি পিত্তরসে স্নান করছে
ব্যথাগুলো অপ্রত্যাশিত প্রেমিক
কামড়ায়
আদর করে
যন্ত্রণা দেয়
ছেঁচকিতে
পিষে পিষে ভালোবাসে
প্রেমিকটির অনেক নারী সঙ্গ
চোখগুলো
পদ্য
গদ্যের মোলায়েম পিঠের মতো
যেখানে কোকিলেরা পাখনায়
খেলা করে
সূর্যের মতো জ্বলে
চঁাদের কলঙ্কে নিস্তেজ থাকে
মৃত কবি
প্রেম নেই
বাজার
নেই
ছুটোছুটি
নেই
দরদাম নেই
প্রকাশক নেই
মিডিয়া
নেই
লাল
নীল খুশি নেই
শরীরের বোতাম চাইবে না
রোজ সকালে খালি বালতি ও খুঁজবে
না
ফেসবুক
স্ট্যাটাস,
ইমু, সেলফি
কবিতাপাঠ
গল্পপাঠ,আড্ডা
মৃতদেহের
একপাশে পড়ে
সেখানে কোন সুখ নেই
জিম নেই
বিউটি পার্লার নেই, ম্যানিকিওর, প্যাডিকিওর নেই
তবু
স্মৃতির তাজমহল বেঁচে থাকবে
জ্বলন্ত ছাইয়ের অনুতে
পরমাত্মাতে---
ফাগুনে আগুন----
ভ্যালেনটাইনস ডে------/
(আমার সমস্ত প্রিয় মানুষজন)
ভুল হাতে
যে ছেলেটি দাঁড়িয়ে
তার ভ্যালেনটাইন আর কোনদিন ফোন করবে না
মুশকিল হল
ছেলেটি সামনে দাঁড়ালেই মরুভূমির বালি পোড়ায়
সাদা কালো স্মৃতিগুলো সুতো হয়ে ওঠে
শাড়ি বুনতে গেলেই ছিঁড়ে খানখান
ভেড়ার লোম
কাছে ডেকে সেলাইের সুযোগ দেয়
শাড়ি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে
উলের টান থাকলেও তাড়াতাড়ি আগুন ধরে
বারবার একতরফা
ক্ষমা তে ভালোবাসাটাই মন থেকে উঠে, কুকুরকে করুণা করা যায় বিয়ে করা যায় না
অমর্যাদা র কুষ্ঠে ভোগে---
ভ্যালেনটাইনস ডে-/২
টালির ছাউনি দেওয়া যে বাড়িটি ওঠানামা করছিল
আসলেই ওটা একটা মস্ত
বড় অজগর
সুর্পনখা
প্রেম টা ঠিক জানতই না
নাক কান পুরুষরা শুতে যাওয়ার আগে কাটে না
পরে কাটে
কিছু বলা
ই উচিত নয়
চুপচাপ কাছে বসো
গা ঘেঁষে কানে কানে কোন কথা নয়
দেখে যাও
শুনে যাও
সুর্পনখা হতে
চাই না
আমার কানে
কানে কিছু বলতে এসো না----
প্রেমিক
ফেসবুক হাতড়াতে হাতড়াতে খোলা জানালা
কে কখনই বাথরুম মনে করতে পারি না
টেবিল চেয়ার
যতই মারধোর করুক
আমার
ব্যর্থ প্রেমটা কখনোই মুছতে পারি না
ছাদ এক
সরলরেখায় রোদে ঘুমোতে গেলে
ছবি গুলো ,আদরগুলো জাগিয়ে তোলে
তঁার লাস্ট চয়েস
বড় বড় টিপ, শাড়ির গন্ধ, জামার
আভা কাতরে কাতরে হৃদয় খোঁজে
পাশে বসে তবু
দূরবীক্ষন যন্ত্রে মন অনেক দূরে
ডুরির
বিশ্বাসগুলো ছিঁড়ে ক্যাকটাসের ঝোপ
ডাস্টবিন ও কথা বলছে
মেঘের নীল আশ্বাস গুলো য়
তিলোত্তমা
সতী লক্ষীরা পুড়ে এক নারীবাদী বৃন্দাবন
কৃষ্ণ
থাকবে না
সখী থাকবে না
পারের কড়ি ও লাগবে না
নিজেরাই নিজেদের প্রেমিক
নিজের দেহ ই নিজের শ্রেষ্ঠ রাসোৎসব--¡
ভ্যালেনটাইনকে----
যে মেয়েটি গ্রাম থেকে শহরের হোস্টেলে এলো
কি পেলো
হই হুল্লোড়
প্রেমপত্র
সেক্সচ্যাট
মহিলা টিজিং
ইভটিজিং
র ্যাগিং
কি বুঝল
অবাধ
সংকরায়ন
বায়োলজি প্র্যাক্টিক্যাল
হাতেনাতে
কেমিষ্ট্রির রস
কি জানল
যে
ছেলেটি ভালোবাসছে তঁার ভার্জিনিটি উবে গেছে
তুলোর মতো ,হাওয়ার মতো
বেড শেয়ারে মজা নিচ্ছে---?
পাশের ঘরে দঁাত
চাপা হাসি,
শীৎকার ¡
ফাগুনের কবিতা----
প্রেম
প্রেম আবহাওয়া,
শিরশিরে যৌবন,ভ্যালেনটাইনকে গোলাপ সহ চুমু---
বিবাহিতদের ভ্যালেনটাইন হয় না
স্বামী স্ত্রীর দরজা বন্ধ মারধোর
কুড়িতে ছমাসের বাচ্চা
চারিদিকে দারিদ্রের নিম্নচাপ
একমুঠো
হাওয়া
ক্ষুধার্ত প্রেমিক
দুদিক থেকে আসা বিরহ ,তিরস্কার
তবু
খাই
এক আকাশ ভালোবাসা
রোদে
পুড়ে
ফিল্টারে ছেঁকে
জ্বরে কাতরে
ফাগুন এলোই
সুকান্তদের আর প্রেমিক হওয়া হল না
কোন কবিতা সম্মেলনে বিরহ ,রোমান্স পায় না শুধু
চা
বিস্কুট আর বিরিয়ানি পায়----¡