বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বিশ্বজিৎ দেব


বিশ্বজিৎ দেব

প্রেতচর্চা

ঘসে মেজে তাকে চকচকে করে তোল
আবক্ষ রচনা করে রঙ দাও টেনে
দাঁড় করিয়ে রাখো রোদে বাইপাসে প্রেরণাস্বরুপ

দ্রুতগামী সব তেমাথার মোড়ে প্রেরণারা
যেরকম দাঁড়িয়ে রয়েছে, অন্ধকারে
দুর থেকে দেখা যাচ্ছে তাঁদের চোখের
জ্লন্ত ফসফরাসগুলি,তারা জানে
মানুষের এই প্রেতচর্চার ইতিহাস থেকে
দুরে নিজে থেকেই ঘাসেরা গজায়

দেহের মাংস আর পরচুলা ফেলে
ভাষাহীন শবেরা ঘুমোয় প্রাণ খুলে






সুপারনোভা

ওপারে বিলিন হচ্ছে দেহের আমিষ
এপারে সেলাই হচ্ছে টিস্যু,
হিজিবিজি থেকে লেখা
মুছে যাচ্ছে, ফের সাফ হচ্ছে খড়কুটো
ঘুলঘুলি, ধোঁয়াটে চিমনির মুখ

কিঞ্চিত্ রঙ আছে জেনে
অবাক অভিব্যক্তিগুলিও খুঁচিয়ে তুলেছে চোখমুখ,
উড়ে এসে খাঁচায় ঢুকেছে পাখি

পোড়ামাটি, এ নিয়েই রাতের কুহক
রাত ছেনে দুহাতে ফতুর হয়েছে রঙ
বাঙ্ময় শিল্পকলা ফেলে তারা
উড়ে যাচ্ছে শীতের বাতাসে....






পাঠপ্রতিক্রিয়া

যে নিবিড় পাঠপ্রতিক্রিয়া থেকে
তোমাকে পেয়েছি তার এক কোনে ছিলো
টেবিলের অন্ধকার ,
ফুটন্ত আয়তবর্গ,
ব্যথা থেমে গেলে চাকার বিরতি ....

এই অব্দি কোনো সংশয়
রাখেনি ঘোরের গল্প, প্রত্যেকের মোমের
মাংস থেকে বিস্তৃত আলোর পরিধি
যার পরে শাখার অন্ধকার , শিরা উপশিরা
আশাহত ক্লোরোফিলগুলি






চৌচির

এনে জুড়ে দিচ্ছো ব্যথা, হাড়গোড়
শ্রাবনের জল , যেনো গরিবের দেহের পরিধি ....

ছাঁচের গড়নগুলিও ঝলসে দিচ্ছো
তারতম্য অনুযায়ী, ফুটিয়ে তুলেছো তাদের
অতিতের রুপের অহঙ্কার, স্বকীয় ঝিলিক

এতসব তছনছ করে
ঘর ছেড়ে যে বেরিয়ে যাচ্ছে
পূবের বাতাস , কি বলে ডাকবে তাকে
কাঁচভাঙা দিনে চৌচির .....






ফটো

আলোর নিঝুমটুকু শুধু ফ্রেমে বাধা
এর এককোনে স্বরচিত মাকড়সার জাল
দেয়ালের শোভিত ডিসটেম্পার থেকে
এভাবেই খসে পড়ছে তার পুরোনো মসৃনতার রঙ,
নিজের ফাঁদের কাছে নিঃসৃত লালা,
ঋতুর তারতম্য অনুযায়ী
স্মৃতির মিনতিগুলি ......

কে কাকে ধরেছে আলো
এত কাছে, সলতের জমাট শৈলী থেকে
ক্রমশ বিলিন হচ্ছে হ্রসঃতর মোম!