বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শকুন্তলা সান্যাল


শকুন্তলা সান্যাল

দূরত্ব

যুদ্ধতো এক তাচ্ছিল্যকরণ..
অন্ধকারে তুমি কেন কুসুম ছড়াতে বললে
আমি বেপথু হয়ে গেলাম,
ধূলোমাখা রাস্তায় আমার সকাল দেখা হলোনা
অন্যমুখে ওপাশ থেকে সুপ্রভাত শুনে ফিরলাম..

তুমি আমার আর্তনাদ শুনতে পেলেনা
শুধু কুসুমটুকুই জানলে





মেঠোমি

বাতাসের কথার ভেতর কত ছলনার সংকেত

সংকেত আমায় রক্ষা করলো কতবার কে জানে..
আর অহেতুক এসে বারবার ছড়িয়ে দিলো উঠানে..

এযাবৎ নোটিশে আশ্চর্য্য লিখে রেখে
মিয়ানো মুড়ির মতো সম্মান মাইক্রোওভেনে সেঁকেনি..
আরো বেশি ভালোবাসা পাব বলে..





বরং ততটা ভাবো

অতটা ভেবনা-
পাথরের বুকে লোহা-চাকার দাগ
থেকে যাওয়া সঙ্গত,
চাকার গায়ে টুকরো পাথর খুঁজতে যেওনা
বদনামের মতো তোমার কান দুটি বরং ওড়নায় ঢেকে নাও..
বরং ততটা ভাবো-
যতটা ভাবলে আলগা চটির ফটফট্ কাদা থেকে
পোষাকটা বাঁচানো যায়..
যদিও সবসময় মনে থাকেনা তবু মনে রাখা ভালো
পাথর থেকে কাদা হতে অনেকটা সময় লাগে,
আর কাদা থেকে পাথরে ফিরতে-
প্রয়োজন অন্ধকারের একটা অবাক-চোখ,
অত সময় তুমি কি পাবে?আছে কি তীক্ষ্ণ ভেদের প্রদীপ-ঘোর?
সামান্য একটু নেট ডাউন হলেই তো চুল ছিঁড়তে বসো-
তারচেয়ে বরং কানের ভেতর সুর বেঁধে নাও
চোখের ভেতর সাধন করো প্রেম






ভালোর জন্য কয়েক পংক্তি

মেঘের ভেতর লুকিয়ে আছে
এক কোটি শয়তান
ঐ মেঘেই গর্জে ওঠেন
এক কোটি ভগবান

মাটির ভেতর চাপা আছে
অসম অপমান
মাটির থেকে আশাও জাগে
মাধ্যম ফেরাও সম্মান

বাতাস বুকে ভাসিয়ে আনে
স্বর্গীও সুরতান
ঝড়ের বুকে উড়েও আসে
বৃক্ষ মারার বাণ

আমার দেশে মানুষ বাঁচে
গায় মানুষ হওয়ার গান
আমার দেশেও হায়না বাঁচে
গায় রক্ত খাওয়ার গান..

হোতেও পারে সাদা অনেক কালো
হোতেও পারে কালোও পরিষ্কার
তবু জেতার থেকে ভালো
হেরে যাওয়ার সফল পুরস্কার..





রথী

ঘুরছে চক্র,ছুটছে চাকা
মনের ভেতর স্বপ্ন ভোর,
ফিরব ঘরে.. ফিরছি ঘরে..
ঘোর লেগে যায় ধন্দে মোর
ঘর যে আমার বিশ্ব-একা,
যদি পৌঁছে দেয় রতন জোড়