সুকান্ত
মজুমদার
প্রাপ্তি
যেটুকু যেভাবে কুড়িয়ে
পাওয়া
সর্বনাশা খেয়ালী প্রেম
আনমনা স্থপতির প্রিয়
রচনা
অসহ সুখ যন্ত্রণা ফাগুন
প্রলাপ,
বর্নাঢ্য শান্তনা স্বরুপ
সমাহিত অপ্রাপ্তির
ফুলেরা
মুখোমুখি নিয়ে অনাদরের
গ্লানি
বসন্ত বিবশ নিষিক্ত
পদাবলী।
নিজ বিস্মরণের আন্দোলনে
দু খামচা বাসন্তী সমাপন
অতিব অতিত নিয়োজিত
বন্য মর্মরে নির্মম
গুঞ্জনে।
সেই চাওয়াতে
গায়ে মাখি লোহিত বিলাস
সবুজাভ অরণ্যচারী মন
পাতা ঝরা বিপন্নতা বুকে
ধরি -
শূণ্য নিভৃতে ভাবনার
শীত জীর্ণ মাদার শিমূলের
অর্জিত কন্টক
শাখা-উপশাখায়
অলি মন মৌ হয়।
সমস্ত শরীর শিমুল আগুন
উদাসী নৈরাশ্য দৃষ্টি
বিভোর
সেই তোমার আমিকেই শুনতে
দেখি
গুটি কয়েক পরিশ্রুত
বাক্যে,
তোমারি অভিবাদন ফাল্গুনী
সুর
তোমাকে পুনরায় চেয়ে
নেবার
উদাস দুপুর, উদগ্রীব মনন
অনিচ্ছুক ইচ্ছের অসহ
দহন।
দ্বৈততায়
সেই বাঁশবন প্রতিক্ষীত
শনশন
কৃষ্ণ প্রলাপ বাঁশি, নিঃস্ব মদিরা
জড়িয়ে রাখে যেন এক টুকরো
হারিয়ে ফেলা বিঘ্নিত
পরিশীলন
সঙ্গলাভের ভ্রুকুটি,
ভালোবাসারি আস্কারায়
সন্মোহিত।
মন ও জীবন যুদ্ধের দ্বৈত
দৌরাত্ম্য।
আজ
দ্বারা খোলা বিপন্ন
অবকাশ
দিনমজুর মন ক্লেশ
ক্লান্ত রোমন্থনে
চেয়ে থাকা সুখ নিঃস্ব
বনানী
চির একাকীত্বের স্বগৃহ
পরবাস।
নির্বিকার
অবসন্ন রিক্ত উদ্যায়ী
স্মৃতিকথা।
সজীব দুপুর পাড়ে গাছ
গাছালির
ছায়া মায়া আর উড়ন্ত
দৃষ্টি
কবেকার চেয়ে থাকা -
এভাবেই আদি অনাদির
মিশে যাওয়া ঘোর ভাষাহীন
ডুবে যাওয়া আমি ছল
শুন্যতার
উপস্থিতির অতলে
নির্বিকার ।
তুমি আসছো বলে
অযাচিত ভাবনার খোলা মাঠে
রুদ্র অনুতাপ রুক্ষতায়
সম্পর্কের পদচিহ্নগুলি
বালিয়াড়ি।
পরাজিত আস্থা ও
বিশ্বাসের
মৃত পত্র স্তুুপে রঙিন
উপস্থাপনা
ব্যঙ্গচিত্র আঁকে, ফুলে ফুলে
ঘুমিয়ে পড়ে বৈপ্লবিক মন
।
জলজ শুষ্কতা
জলশরীর শুষ্কতার
আলিঙ্গনে
বৈরাগী সুর শাণিত বাতাস
বার্তা আনে অজানা ভ্রোম
তৃষিত পরশ্রীর আপন
সংবাদে।
গুটি কয়েক প্রদাহের
বোঝাভার
ব্যক্ত হওয়া আমি তোমার
অপার সুখ বৈভব হয়ে আসা
প্রত্যাশার শাখে নব্য আশাবৈরী,
তোমার ওষ্ঠাগত শুষ্কতা
আমার সুপ্রাচীন কামনা
দিনভর ক্ষ্যাপা বাতাসে
অভিন্ন
স্বরলিপি।
বহু যত্নের আত্ম বর্ণন
লিখে রাখা ফাল্গুনী চাঁদ
আনকোরা স্বপ্নের
অপমৃত্যু
নতুন নামের সম্মোধন
নিতান্তই ধূলো ওড়নার
দীগন্তে
কোন বিকট সত্য খেলাঘর
ছেড়ে
এভাবেই তবু আসবো বলে।