বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

শাহানারা ঝরনা


শাহানারা ঝরনা

হে শব্দশিল্পী...!!!

জানো তো, আমার হৃদয়ে একটাই সূর্য !
কি তেজোদ্দীপ্ত তার বিকিরণ !! হয়তো তোমার আকাশেও একটাই চাঁদ.
.মায়াবী . মায়াবতী...যার স্নিগ্ধ আলোয় তুমি
নিজেকে সম্মোহিত করো লুকোচুরি স্বপ্ন মদিরতায় ।
অভিমানী সময় এভাবেই পূর্ণতা পায় !
মধুকর ডিঙায় চড়ে যখন  মাধুকরী ক্ষণ আসে ..
তুমি তখন মনকথার অনুভুতি দিয়ে শব্দের চাষ করো !
ওরা কবিতার ফুল হয়ে ফুটে উঠলে ,.
.আমি সে ফুলে পরম নির্ভরতার মালা গাঁথি !
তারপর আকাশকে সাক্ষী রেখে পাঠিয়ে দিই তোমার আঙিনায় !
হয়তো একদিন সূর্য তাপস হবে ..চন্দ্র তাপসীনি !
বুকের ভেতর বইবে সুগভীর প্রেমের অলকানন্দা !
আর তৃষিত হৃদয়ে জাগবে বিদ্যাপতি বিরহের আবেশ !
হয়তো নিভৃতে বলবে তুমি -----
.'.জনম জনম হাম রূপ নেহারিনু
নয়ন না তিরপিত ভেল
লাখ লাখ যুগ হিয়ে হিয়া রাখনু
তবু হিয়া জুড়ন না গেল '..!!!





সময় এখন

বিষাদ স্রোতে ভেসে যেতে যেতে কেউ,
কোলাহলের সিম্ফনিতে সাজায় নাগরিক মন

অযাচিত ভয়ের ভেতর কাংখিত সুন্দর খুঁজি।

কখনো আরাধনায় মাতে মাতাল বাতাস,,,
কী লাভ পরমাণুবিদ্যার প্রাত্যহিকী সাজিয়ে!!
আত্মবিশ্বাসের তৈলচিত্র পুরনো এখন,
বাণীমন্দিরও পড়ে থাকে আদর্শহীন ।
সারাদিন কত যে কথা বলি ---অথচ বলা হয়না কিছুই
উদ্বাস্তু সময় যেন অনাস্থার কফিন পরে একাকি হারায়
স্বপ্নেরাও হয়ে যায় বিয়োগান্তক নাটকের দৃশ্য।





কখনো হয়ে যাই

শেষ হয়না আগুন প্রহর , বাস্তুদেবের
বাহুল্যবর্জিত আচরণ , পারেনা পাল্টে দিতে
বুদ্ধিবাড়ন্তের ধ্যান- ধারনা ।
পৌরাণিক সংক্রান্তির জৌলুসে কিছু দৃশ্যমুখও
হারিয়ে যায় , গন্তব্যের ধারাবাহিকতা নিয়ে
কখনো হয়ে যাই অতিমানব ।
জ্যোতিষিক মন- সংযোগ নীতি কেউ বোঝে
কেউ বা বোঝেনা , স্থুলানন্দেই রিংটোনে বাজে
বিলাসি সুর ।
অসংগতি নিয়ে তেজস্ক্রিয়তার কাছাকাছি হই ,
পরমাণু বিদ্যাবলয়ে বাঁধি জীবন সুচিক্রম
পুঁজিবাদী মন গুগল অ্যাপল বোঝে
বোঝেনা মানবতা , বোঝেনা প্রেম !!




নিমগ্ন ভাবনা বলয়ে

বাতাসে ভেসে আসে মরমী গানের সুর
তুমিময় ফুলের গন্ধে উতলা মন আমার
আবেশে হারিয়ে যায় দূর থেকে বহুদূরে...
অক্ষরের রঙিন সুতোয় বাক্যের মালা গাঁথি
প্রণয়ী সময়কে সাজাই নতুন সাজে.
মনকথা.. রূপকথা হয়ে ভেসে যায় তোমার আঙিনায় !
তুমি মনের কাগজে করো নিসর্গ আঁকিবুঁকি
কখনো সৌহার্দের চিঠিখানি পাঠাও আমার ঠিকানায়...!
আমিও অভিভূত হই . নিমগ্নতায় খুলে দেই মনের ইমেইল |
মুঠোফোনে বেজে ওঠে সংক্রান্তির রিংটোন..
দূরে থেকেই শুনি পূজারি হৃদয়ের সংলাপ |
আমার আর কোন কিছুই বলার থাকেনা..
মনখারাপের গল্পগুলো নিয়ে হৃদয় আকুল হলেই
ব্যস্ততায় ছুটে যাই নাগরিক সেমিনারে |
মানবতার রচনা লিখি ..
.তুমিময় ভাবনাকে ক্লোন করে আঁকি যান্ত্রিক ভালবাসার ছাপচিত্র !
বিশালতায় পয়মন্ত হই ...
চিরজীবী হয় আমার বনেদী জীবন প্রবাহ |






অনুমোদনহীন জীবনের গল্প

মধ্যজীবনের ভাঁজভাঙা ইচ্ছরাই এখন
রাজকীয় আনন্দে বিভোর সারাক্ষণ
বিষাদের ক্যামেরায় তবু জুম করে দেখি
অনাহুত স্বপ্নগুলো,,
কুশিলব দিন তার খবর রাখেনা।
এপিটন রঙে আঁকা কষ্টের ক্ষতচিহ্ন
কখনো হয়ে যায় ছোপ ছোপ রক্ত
ইথারিয় ই-মেইলে বসে কেউ কেউ নিয়ন্ত্রণ করে
দুঃসময়ের রিমোট কন্ট্রোল ,,
বাকহীন তাকিয়ে দেখে নেশাক্রান্ত জুড়িবোর্ড।

একসময়, আদর্শবাদী কোন মুদ্রাক্ষরিক
নিয়তির যুক্তফন্টে লেখে
অনুমোদনহীন জীবনের গল্প।!!
দিন চলে যায়----কালের খাতায় লেখা হয় তার নাম
একদিন----
" সেভিয়র অফ দ্য ওয়ার্ল্ড " এর মতো
কোটি মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয় তার
মৃত স্বপ্নের এপিসোডগুলো !!!