রাহুল
গাংগুলি
মেটামরফিন্ গ্লাসনোটস্
[১]
ধরে রাখতে পারছি না
কিছুই যেন ধরে রাখা যায়
না ~ দেওয়াল সংকেত
হাত ফস্কে গলে যায় :
মেরুন ছাইয়ের আবেদন
জলের ভিতরে দেখছি ~ লুকনো বীজের খেলা
মা : তোমার মাটির বোঁটা
২টো খুলে দাও
তাজমহল ভাঙি।একটু ঘুমাই
[২]
খড়ের কথা থেকে ~ খেড়োর খাতার
আয়নায় অ্যামালগাম্।সেই
কবে মা মা ডেকেছিল
দুষ্প্রাপ্য বলিরেখায় :
আজন্মকাল জলদাগ কাটি
তোমার ~ খসেপড়া ঘুঙুর।বিচুলির কাঁথা
আমার পাপ।আর যাবতীয়
শ্যাওলাচুলে ভূট্টার গন্ধ
গন্তব্যে ১দিন ঠিক যাবো ~ মখমলি রেললাইন ধরে
[৩]
০ থেকে মাটি ছুঁড়ে দিলে ~
ওপরে সাড়ে ৩ হাত লোহার চাদর
এখন।এখন।এখন : এই
মুহূর্তে
বুলেট = সংকোচনহীন ~ ভাষাগত ক্যালাইডোস্কোপ
ঝাড়ফুঁক বাড়ে ~ ভেঙে পড়ে কাগজের উপবাস
চোরাশব্দের গতিবেগ :
বিকল্প বিন্দুর পতনে 'মা'
[৪]
প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ
হলে ~ জন্মজড়ুল খুঁজে বেরাচ্ছি
পাকস্থলীর বাতাস ~ খেয়ে ফেলছে ১খন্ড বরফ
ক্রমশঃ প্রকাশিত।অস্পষ্ট
তিতিরের চোখ
মাটিবাহিত মুখচোরা দামাল
~ ভয়হীন বেয়োনেট
এপর্যন্ত কুহুকুহু ভাষা
: থেমে যায়
শুরুবাদ আকন্দ-নাভি থেকে
~ হাতুড়ির চিৎকার
স্বরবর্ণ আগুনে
পোড়ে।ব্যাঞ্জনবর্ণ পোড়ায়
তেজস্ক্রিয় মহাকাশ ~ আদতে আকারহীন আমলকি
[৫]
যতোটুকু আড়াল ~ মুছে ফেলে জলীয়মাটির স্পর্শ
এখনো অনিয়মিত দ্বিধা
মা তোমার অনুচ্চারিত
বিবর্তন দাও
শহিদি জাফরান চাদরে ~ ভরবেগের দুপুর ভাসাই
ঠিকানায় শব্দ পৌঁছায় :
শব্দকথার খনিজ জৌলুস
শব্দের চিঠিখাম : ছাদের
ভেলায় উড়ন্ত কাকতাড়ুয়া
শিকড়ের মিছিলমেলায় ~ আমারও পলাশবেশ
[৬]
দূরত্ব কমালে ~ সন্ন্যাসী রশ্মি থেকে শব্দভেদী কাচ
আড়ালেও : নোনাফসলের আপাত
পতন ঘটে
আপদকালীন রোদ।রোদের
ঝলসানো।পোড়াভিটে
খসে পড়া নাভিতারায়
চূড়ান্ত প্রসূতিঘর
যারা নিখোঁজ হয়েছিলো ~ বুলবুল সংক্রমণ
তারাও ফিরেছে ~ ফায়ারিং স্কোয়াডের পদ্মচূড়ায়
ঘুমলম্ফ নেভাই।বাতাস
শনশন্ ~ অনুঘটক আঘাত
(সিরিজটা
২১ ফেব্রুয়ারি ~ ভাষাশহিদ সাথিদের স্মরণে উৎসর্গ)