বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

রাহুল গাংগুলি


রাহুল গাংগুলি

মেটামরফিন্ গ্লাসনোটস্
[১]

ধরে রাখতে পারছি না
কিছুই যেন ধরে রাখা যায় না ~ দেওয়াল সংকেত
হাত ফস্কে গলে যায় : মেরুন ছাইয়ের আবেদন
জলের ভিতরে দেখছি ~ লুকনো বীজের খেলা

মা : তোমার মাটির বোঁটা ২টো খুলে দাও
তাজমহল ভাঙি।একটু ঘুমাই





[২]

খড়ের কথা থেকে ~ খেড়োর খাতার
আয়নায় অ্যামালগাম্।সেই কবে মা মা ডেকেছিল
দুষ্প্রাপ্য বলিরেখায় : আজন্মকাল জলদাগ কাটি

তোমার ~ খসেপড়া ঘুঙুর।বিচুলির কাঁথা
আমার পাপ।আর যাবতীয় শ্যাওলাচুলে ভূট্টার গন্ধ

গন্তব্যে ১দিন ঠিক যাবো ~ মখমলি রেললাইন ধরে





[৩]

০ থেকে মাটি ছুঁড়ে দিলে ~
    ওপরে সাড়ে ৩ হাত লোহার চাদর
এখন।এখন।এখন : এই মুহূর্তে
বুলেট = সংকোচনহীন ~ ভাষাগত ক্যালাইডোস্কোপ
ঝাড়ফুঁক বাড়ে ~ ভেঙে পড়ে কাগজের উপবাস

চোরাশব্দের গতিবেগ : বিকল্প বিন্দুর পতনে 'মা'





[৪]

প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হলে ~ জন্মজড়ুল খুঁজে বেরাচ্ছি
পাকস্থলীর বাতাস ~ খেয়ে ফেলছে ১খন্ড বরফ
ক্রমশঃ প্রকাশিত।অস্পষ্ট তিতিরের চোখ
মাটিবাহিত মুখচোরা দামাল ~ ভয়হীন বেয়োনেট

এপর্যন্ত কুহুকুহু ভাষা : থেমে যায়
শুরুবাদ আকন্দ-নাভি থেকে ~ হাতুড়ির চিৎকার
স্বরবর্ণ আগুনে পোড়ে।ব্যাঞ্জনবর্ণ পোড়ায়

তেজস্ক্রিয় মহাকাশ ~ আদতে আকারহীন আমলকি





[৫]

যতোটুকু আড়াল ~ মুছে ফেলে জলীয়মাটির স্পর্শ
এখনো অনিয়মিত দ্বিধা
মা তোমার অনুচ্চারিত বিবর্তন দাও
শহিদি জাফরান চাদরে ~ ভরবেগের দুপুর ভাসাই

ঠিকানায় শব্দ পৌঁছায় : শব্দকথার খনিজ জৌলুস
শব্দের চিঠিখাম : ছাদের ভেলায় উড়ন্ত কাকতাড়ুয়া

শিকড়ের মিছিলমেলায় ~ আমারও পলাশবেশ





[৬]

দূরত্ব কমালে ~ সন্ন্যাসী রশ্মি থেকে শব্দভেদী কাচ
আড়ালেও : নোনাফসলের আপাত পতন ঘটে
আপদকালীন রোদ।রোদের ঝলসানো।পোড়াভিটে
খসে পড়া নাভিতারায় চূড়ান্ত প্রসূতিঘর

যারা নিখোঁজ হয়েছিলো ~ বুলবুল সংক্রমণ
তারাও ফিরেছে ~ ফায়ারিং স্কোয়াডের পদ্মচূড়ায়

ঘুমলম্ফ নেভাই।বাতাস শনশন্ ~ অনুঘটক আঘাত



 (সিরিজটা ২১ ফেব্রুয়ারি ~ ভাষাশহিদ সাথিদের স্মরণে উৎসর্গ)