শ্রাবণী সিংহ
ফাগুন-পলাশের কবিতা
১)
পাথুরে গাছটার গোড়ায়
আজ অন্য এক নুড়ি চাপানো.
হাল্কা স্টোলের মত জড়িয়ে আছে গাছের পরগাছারা, বুনো নির্যাস!
এখন ঘুমিয়ে আছে জেবাষ্টিনের অষ্টম ঘোড়ারা, তাদের কেশর হয়ে মধ্যাহ্ন ঝুলছে।
কোনো ইমোশনই চিরস্থায়ী নয় বোধহয়
কেউ কি ভেবেছিল বিষন্ন ঠোঁটের কথাগুলি এঁকেবেঁকে যাবে
আগামীর
ফাল্গুনের দিকে।
২)
শীতের গোছানো শেষ না হতেই মনকেমনের কুহুডাক,
মাদারবনে মরা শীতের হাড়হিম ফেলে উড়ে যাওয়া গুষ্টিশুদ্ধ
বালিহাঁস
জানান দিচ্ছে নিয়ামক বসন্ত
দোরগোড়ায়।
আহ্লাদী দোয়েল শিস্ দেয় ঠিক নদীর মত করে,
আজকাল সবেতে উল্টোটাই ভাবি।
৩)
এবার বসন্ত এলে মুঠিভর পলাশ দেব তোমায়
প্রীতিভাজনেষু,
এ অভিনয় নয়, প্রেম
প্রেম হে
কফিশপে কাপুচিনোর বুদবুদে মিথ্যাচার, শুধু বুঁদ হয়ে থাকা
তোমার স্বভাব
এই বিপরীতমুখীতা থেকে তীব্র, তীব্রতর হয়ে ওঠে
আমার হাত ছোঁয়ার বাসনা।
৪)
ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে দেখালে সুন্দরের নির্মাণ।
কত দুঃখ তো কাঁপিয়ে যায় শীতের জজবা,
পুরনো জখম কিছু ফিরে আসে বসন্তের জামা গায়ে হিব্রু নকশায়,গলিতে
রোমাঞ্চ জাগলেই
পাপের পুনরাবৃত্তি...
৫)
দেবতা তো নও ...নগন্য পূজারী
নখাগ্রে ঢেলে দাও আগুন
রক্তসিঞ্চনে বন্ধ্যা মাটিও লাল, লাল কৃষ্ণচূড়া লাল গুলাল, সিঁদুর
লাল
বাসন্তী -রঙা মন যদি হত, ইস্
হলুদে রাঙাতাম বিপ্লব, অমলতাসের নাকছাবি
হলুদ পাঞ্জাবীতে পুরোটাই উচ্ছন্নে যাওয়ার মাস।