পৃথা
রায় চৌধুরী
গন্তব্য
বসন্ত এগিয়েছে পলাশডাকেই
থমকে সেই কবেকার
অমলিন পাখী নামের তলায়
জ্যোৎস্না বাঁশি
বিসর্জনে একা...
একা সাক্ষী!
সাক্ষ যায় গঙ্গায়
এক ডুব, ছোপ ছোপ
দুই ডুব, হালকা দাগী
তিন ডুব, কলঙ্ক কলঙ্ক
ফিরবি?
রাস্তার নাম, অমুক
নম্বর তমুক
ঠিকানা তুমি।
হ্যাং টিল ডেথ
এক "নাহ! কিছু
না"
নতজানু হয়ে
এক আকাশ রোদ্দুর
অঞ্জলি দিলাম,
রেগে উঠে বললে
হতচ্ছাড়ি, দিলি পুড়িয়ে?
ফিরিয়ে দে সব দান...
গনগনে আঁচে চাঁদ তারা
অবাক দেখে, স্বালঙ্কারা
ভিখারিনী পেতে রাখে
খাক্ আঁচল, তুমি ভিক্ষায়।
দানপাত্র ভরে ওঠে
আমার মৃত্যু পরোয়ানা
লিখে
...
খনা কলমে।
সার্থকনামা
চুপি,
কেউ বুঝলো না
ভাগ দিলি না ধরে ওঠা
কখন ধিকিধিকি থেকে
দাউদাউ হলি,
জলও নিজেই ভিজে জেনে
গেলো
তোর কখনো ছাই হয় না
প্রতি চুমুতে ছাই কোটি
নিরীহ ....
জেনে যাক দশ দিক
তোর অপ্রকাশিত নাম
....
যন্ত্রণা।
নীরবনামা
ঝাপসা জানালাটা চিঠি হয়ে স্পষ্ট আঁচে খেলতে থাকা আকাশ ছুঁলো;
দরকার ছিল না বিদ্যুতের, তবু তাতেই সওয়ার হয়ে ফিসফিসিয়ে
শুনিয়ে গেলো, কেমন
আছিস দীর্ঘশ্বাস?
তোমার ছেলেবেলা খুঁজবো তোমার সাথে, খুব পুরনো কিছু বর্ম-অস্ত্রে,
ফিরতি পথ ডাকার মুখে নতুনগন্ধী পায়রাবাক্সে রেখে আসা যাবে
দুটো তরল মুক্তোভাসা কঠিন জলোচ্ছ্বাস।
কিছু সন্ধ্যেআলো পথ আঙ্গুলের ডগা ছুঁয়ে যেখানে সাহসী হতে
চেয়ে
বন্ধ করতে চেয়েছিল অবান্তর কথামালা, একা ছায়া বুনে দেয় জোড়া
অনবরত তোমার ঢোঁকে তেষ্টা মেটানোর।
যাবতীয় নোনতা তোমার চোখ ছেড়ে খুঁজে নিক আমার দৃষ্টির
প্রেক্ষায়
লাল ঝাঁঝ, রাজা
রানির গল্প নাহয় আবার লিখি সমুদ্রের গর্ভপ্রহরে;
পড়ে থাক অনাদরে কিছু বসন্তগুচ্ছ।
ঘুমের জোয়ার ভেঙ্গে উড়ে আয় স্বপ্নের পরজন্ম...
জীবন অকৃত্রিম
ঠাকুরদালান আড়ি ভাব খেলে হাফপ্যান্ট ফ্রক পাশাপাশি
তোর বর্ণপরিচয়ের গোলাপিটা আমার চেয়ে হালকা, দ্যাখ দ্যাখ
ছোট করে লেখা ঋতু রচনা মুখস্থ করে কয়েক বসন্ত পার।
ফ্যালফ্যালে ডিসকভারির পান্নায় লাট খাওয়া সমুদ্রমানবী
শশব্যস্তে
লজ্জা ঢেকে চুলের জট ছাড়িয়ে মিশে গেলো প্রবাল দেহে,
তুমি সূর্যাস্ত নিয়ে এলে ভোর ছোঁয়ায়।
কৃষ্ণচূড়া পলাশ খুনসুটির নিঃশ্বাস দিয়ে সঁপে দেয় পাল্লা
ভারি আড়ি
কিছু ভাবলেশহীন ভাব জোয়ারে; তোমার চিঠি প্রচুর জারজ অক্টোপাস বয়ে
উঠে বসে কোলে, কফির ধোঁয়ায়।
পাখী ডাকে ডানা ভেঙ্গে যায় পড়ে থাকা কিছু পালকের,
উপকারিতা বুঝে ওড়া শিখে শিকে ছেঁড়া পাড়ে ভাঙ্গন রোধে
অনেক তুমি তোমার তোমাকে রাঙিয়ে তুলো তুলো ছারখার।
এখন,
বিকেল গায়ে তুষার গুঁড়োর বাড়বাড়ন্ত... আগুন ভেসে
পুড়ে যায় অভিমানী।