ইন্দ্রাণী বিশ্বাস মণ্ডল
সময় গড়িয়ে বিকেল : বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে
--------------------------------
---
আজ ভালো কিছু করলেও
খুশি তুমি আর হওনা।
সুরাপাত্রে সুরা ঢাললেও সুরাতুর তুমি হওনা।
কাঠবেড়ালিরা আজও আসে যায়
অনুভব তুমি করোনা।
আজও বেশ মানী অতি অভিমানী
মান ভাঙা খেলা চলে না।
পাখি খাঁচাটায় ডানা ঝাপটায়
ওড়া হবে কিনা জানে না।
-----------------
একটু ভুলের জন্য
মন দিয়ে হাঁটছিলাম
হাঁটতে হাঁটতে চুড়িওয়ালার সাথে দেখা
সে ম্যাচিং করে কটা দুল দিল
আমি দাঁড়িয়ে ভবিষ্যৎ ভাবছিলাম।
আমার টিয়ে সবুজ রঙের মুঠো ব্যাগ
যাকে আমি খুব ভালোবাসতাম
সে আমার মাস কাবারের
গান্ধী নোটগুলো নিয়ে
কার সাথে যেন বেপাত্তা হল।
ঠিকানা ও ফোন নম্বর
দেওয়া থাকল। সন্ধান পেলে
খবর দেবেন ; কারণ আজও আমি
ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে দিয়ে
ঘুরে বেড়াচ্ছি।
মায়াবী মন
------------------------
তোমার অনেক দিনের
বিশ্রম্ভ
ঢাকা পড়েছে আপেল সবুজ
লজ্জায়।
তারুণ্যকে ছুঁতে চেয়ে
নদীর কাছে হাত পেতেছো।
অদ্ভুত পড়ন্ত বিকেলের শোভা
দেখবে বলে ভোরের পাখি
দু'ডানায় ভর করে
অনেকটা পথ উজিয়ে এসে
তোমার নরম রোমে
ভুল করে বাসা বাঁধে।
হঠাৎ পূর্ণ করা সুখের গেলাস
পান করার লোভকে ভয় পেয়ে
চাতক হয়ে উড়ে গেলে,
তুমি ভাবতে পারোনি
আমি বৃষ্টি হতে পারি।
-------------------
সভ্যতার সমাধি
--------------------
৭নং ডাউন প্যাসেঞ্জার ট্রেন
পিষে পিষে চলে যাচ্ছে
বিরক্তি ও করুণার
খুচরো পয়সা।
বন্দী নদী অবহেলায়
চর জেগেছে হতাশ চোখে
বসন্ত তাই সংক্রামিত
বসন্তরোগে।
ছোটলোকের দেবী অনেক
মার্জিত চষে কম্পিউটর,
সভ্যতাকে অসভ্য বানায়
গরিবলোকের খুচরো টাকায়।
-------------------
শুনেছো কি মানুষের কান্না
-----------------------------
বড় আঁশবটি নিয়ে
কৈবর্ত্ত চলে গেল,
মেছুয়া বাজারে তার
নাম ডাক।
ঘোর লাগা চোখে টুকরো করে
রূপোলি সৌন্দর্য।
টুকরো করার মধ্যে দিয়েই
জ্বলে ওঠে তার চোখ ;
এভাবেই অর্দ্ধেক আকাশ দেখেছিল
তাদের বসতগৃহ, আমবাগান,
তুলসীমঞ্চ।
বৃদ্ধ বাবা-মাকেও ফেলে আসতে হয়
বুলেটের তাড়া খেয়ে।
নতুন কিছু কাটবে বলে
সে আরেকটি
সিমলা চুক্তি চায়।
----------------------