হাসিদা মুন
‘মহাকাব্য'
----------------------
জানোতো, ঢাকা - 'বারোশো নয়’তে আছি ?
এই বারোয়ারী বাতাস
এই আদিখ্যেতার হা হুতাশ
এই নিমীলিত পথের বাঁকেই -জীবনের সুর যাচি ...
দূর থেকে দেখা কুঁড়েঘরের জানালা প্রায়
ছোট্ট বাঁচার সময়
বিস্তীর্ণ দূরত্বের কারণে
সেরা তাকানোতেও দৃষ্টি হেরে যায়
নিভৃত যতনে মনে মন বেঁধে
কাছে আসা হয় -এমন করেই ভাববো
শান্তিও এক শান্ত নদী
বিনিময়যোগে মিলনমোহনা - হয়ে উঠবেই মহাকাব্য
.....
*
অপরিসর
-----------------------
আকাশের মধ্যে আকাশ
মনের মধ্যে মন
অদলবদল হয়
.
যেমন দুইদল খেলোয়াড়
পাল্টাপাল্টি করে নেয়
একই মাঠ
.
ঘরের মধ্যে ঘর
আপনের মধ্যে পর
জীবনের মধ্যে যাপন - অপরিসর
*
রাতের কোরাস
------------------------------------
দৃষ্টিটা পুরো মেলেদিয়ে - আকাশে তাকালাম
রাতের কোরাস শুনবো বলে
দেখি অর্ধেক হাসা
বাকি অর্ধেক কাঁদা
আধবাঁকা চাঁদ পাখামেলে
চোখের পাতায় পলক মিষ্টি চুমু দিয়ে গেলো
মন বন্য থেকেও - অন্য হলো
.
শিহর তোলা স্পর্শদের নিভৃতে
ঘুমের পিপেয় লুকোনো কামগন্ধী মদিরা
জাল গোটানোর মতো নিংড়ে কাছেআনি
মানবী বাসনা ঢেলেদিই - ঘুমভাঙ্গা গানে
মুখোমুখি হবে বলে
উতল রাতের পদ্ম মাতাল জোয়ার
চুম্বন মেখে বিহ্বল হবে
ভেসে যাবে দু'চোখের নিবিড় অথৈ দীঘি
.
প্রত্যূষ সকালে সূর্য - রোদেপোড়া এক রাজত্ব দেবে
কীট পতঙ্গভরা গ্রাম- নগরী
পদচিহ্নেঢাকা - শহরের মোড়
নিষিদ্ধ কিছু বিভ্রম হাতে গুজে দেবে
নাম না জানা - সেসব বিষয়দের চেনাযায়না
স্তনের নিচের কানপেতে থাকা পদ্মটা
একে একে বিবর্ণ বিবরণে - শুনে নিলো তা'
যদিও সে মুক- তবুও পড়ে যায়
নিশিদিন - ঝাঁকে ঝাঁক ঝরেপড়া কবিতা ……
সময়ের সাথে জীবনের সহমরণ
-----------------------------------------------
উচ্চারিত শব্দগুলোর
এক ধরণের মোহাচ্ছন্ন করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে
আমার ইচ্ছের
প্রচ্ছায়ায় সেইসব শব্দরা লালিত পালিত হয় এবং আত্মস্থ থেকে থেকে এক
ধরণের শক্তিও বহন
করে
অদ্ভুত সেসব
শক্তিসমূহের সক্ষমতা ও অক্ষমতার প্রতীক বয়ে নিয়ে - অনিমেষনেত্রে মুহূর্তরা
চলে যায়
এভাবেই উপযুগ যুগ
যুগান্তরে কাল মহাকালের আবর্তে হারায় ....
পক্ষান্তরে শব্দ
প্রস্তুতের জন্য যে জীবন - সে অতিসাধারণ
অহর্নিশ মৃত্যুর
প্রভাবময় ক্ষমতা ঘাড়ে করে বয়ে নিয়ে বেড়ায়
জীবনের উপস্থাপনার
বিশেষত হচ্ছে - বিশেষের সন্ধানেই কেটে যায় প্রবাহমাণ আজন্মকাল
সেখানে দাঁড়িয়েই
মায়াময় শিরনামে দিনকাল ঘরে আসে - বাইরে যায় ...
ঘরের মধ্যে সাফল্যের
প্রফুল্ল করা মনের জন্য সর্বোপরি দরকষাকষি চলে
কতিপয় মানুষ ও
ঈশ্বরের সাথে
কিছু মন্দ রহস্যও
উৎসারিত হতে থাকে এসবের আশেপাশে আবহমানকাল ধরেই ...
যে যা কিছু ঘোষণা
করুক
মৃত্যুর সাথে
অনানুষ্ঠানিক সংগ্রাম করে যাওয়াই হচ্ছে জীবিত থাকার মঞ্চায়ন !
সুস্থ জীবনধারায়
নেতৃস্থানীয় আকাংখার সার্বক্ষণিক ফলপ্রসূ হবার
কোন উপায় নেই !
সুবিশাল মহাবিশ্বের
সাথে বিনীত অবস্থান করতে হলে
বিভিন্ন উপায়
বিভিন্ন অবস্থায়
আবর্তিত চতুর্দিকে
খুঁজে চলতে হয়
সমস্ত কিছুই হচ্ছে
জীবিত জীবনের জন্য 'মিথোজীবিত্ব' উপকরণ
যা শুধুই সময়ের সাথে
- এক জীবনের সহমরণ .......
*