অরুণিমা মন্ডল দাস
শাওনের ধারা
যে গোলাপটি ছিঁড়তে ছিঁড়তে আমার হাত রক্তাক্ত
আসলে সেটা প্রেম ছিল না --
শুধুই লোক হাসানো মেঘের গর্জন
চুনো মাছের সমুদ্রে আঁশ খুঁজছিলাম মাত্র
আধোয়া শালপাতায় খাওয়া প্রসাদে বিষাক্ত চুল
সারা শরীরে ঘৃণার বন্ধ্যাত্ব
মেঘের হাত ধরতে গেলাম
বিরক্ত সংগমে কালো কালো থাপ্পড় ,মাঝেমধ্যে আলোর ঝলকানি
তবু
নরম সন্দেশ হাসি পেলাম না
বিশাল মাঠের ঘাসের শুকনোভাবে ভিজে যাওয়া ই হল
সেটা খোলা ছাদের মুক্তোছড়ানো
বারিধারার আলিঙ্গন
ছিল না
শাওনের ধারা ঝরছিল
তঁার চোখে মুখে হাতে লম্বা তৈলাক্ত শরীরের প্রতিটি খঁাজে খঁাজে
এক রোমাঞ্চকর শিহরনে কেঁপে উঠল থুতনি চোখের লাল ভাব কামনায় ভেজা
ঠোঁটের ওঠানামা
ব্যাপারটা হচ্ছে
তুমি একা থাকলেও আমাতে ভেজো
আমি একা থাকলেও তোমাতে ঝরে পড়ি
আমাদের শ্রাবনটাও এক কাপড়ে ঢাকা?
তুমি ভার্জিন কিনা জানিনা
তবে সামনে দঁাড়ালে খোলা বারান্দা টইটম্বুর হয়ে জলে ভরতে থাকে
পুরো মরুভূমিটাই সবুজ হয়ে বীজ বপনের জন্য ছটফট করে
সামান্য ক্যাকটাসের বন দেখলেই ভয় পাই
কৌশলে সেখানেও কলমদেওয়া আপেলের চারা উঁকি মারে
তোমার শ্রাবনের ঘৃণা আমার
ভাদ্রের বুকে শ্রেষ্ঠ চুম্বন--¡
বৃষ্টি
পাশে আসতেই প্রেমের আটলান্টিক সাগরে নামলাম
হাতে কিছুই ছিল না
মন ও ফঁাকা ছিল
কোনো পূবের দিকের চিল ও পারেনি আনন্দ খেতে
তখন সবে ভোরের শিউলি ফুটছিল
পেনটাও আস্তে আস্তে কাগজে হালকা চুমুতে মাতছে
ঠিক সেই সময় -----
তোমার
ভিতরকার স্ট্যাম্প পেপার মার্কসীট পুরস্কারের রমরমা সভা জেগে
উঠল
মন চাইছে ছোট্ট আদর
বিবেক পাথরের দেয়াল দিয়ে
বসে চিরস্থায়ী কুম্ভকর্ণ
হাত কাটছে পা কাটছে হৃদয় মুচড়ে মুচড়ে রক্ত বেরোচ্ছে
চোখের জল পিপাসিত আর্তনাদ---
কণাগুলো উজ্বল বিশ্বাসঘাতক ভালোবাসা
বারবার পাশ ফিরে চাওয়া মোহগ্রস্থ টাইমকল--
ফেসবুকে বর্ষা
ম্যাসেঞ্জারে মেঘ উঠলেও ইমোতে বিদ্যুত গর্জন
গাছের পাতা দুলছে
পাখিটা আগের মতো চোখ গেলো গান গাইছে না
বর্ষা এলো দুদিকে
ভাসছে আ্যকাউন্ট গুলো
আকাশে মেঘ না জমলেও ফেসবুকে বৃষ্টি হবেই
তোমার বৃষ্টিতে আমি পাগলিনী
তোমার বৃষ্টিতে আমি পাগলিনী
আমি শূণ্য মাটির ভাঙা খড়ের ঘরের ভিখারিনী
ছাদ ভেঙে জল ঝরলেই প্রেমেতে
সারা পৃথিবী প্রাসাদ হয়ে ওঠে
একটু জলের মিষ্টতায়
শরীরে ভালোবাসার রোমাঞ্চ ছড়িয়ে যায়
তোমার ঘৃণার দেশলাই আমার সিগারেটে আগুন আনে
ছড়িয়ে যাওয়া সরিষার প্রতিটি দানাতে
তুমি অগোছালো ফুলের বাগানের সবচেয়ে সুন্দর ফুল
পাতাগুলো আড়াল করলেও ভ্রমর চিনবেই
তোমার বৃষ্টিতে সারাদিন সারারাত ভিজে পীরিতের নিউমোনিয়া----
উথাল পাথাল চারিদিক ---
চোখ ভাসে জলে
মনে কেন জল লাগে না--?