পৃথা রায়চৌধুরী
আত্ম-নাশ
অংশ ধুয়ে মুছে যায়
অধিকার ছিলো না ধারনের
শেকড় চিনেছে বৈধতার দস্তখত।
অকারণ কিছু ছবি কাটাকুটি
অযথা দাঁড়িয়ে থাকা অস্তগামী রুখে
হেতু জানতে চেয়ে মৃত্যুশামিয়ানা দিয়ে যাও।
তরোয়াল নেই, বর্ম নেই, নেই বারুদ...
যুদ্ধের সাজ, যুক্তির বেড়া ভাঙ্গা
অবিশ্বাসী চলচ্চিত্র...
দুয়োরানী মন,
কার জন্মভাঙ্গা লাল সমুদ্রের অপেক্ষায়!
জ্বলন্ত
ঝড় উঠলে কিছু কথা তোমাতে মেলে ধরি
বিরক্ত হও? সরিয়ে রাখো সুখা পাতার খসখস!
ঠিক বাদলা এনে দিই ঝাপসা ডানায়
ডানার শিরায় মোড়া থাকে
না লেখা চিঠির মহড়া
বলে যেতে পারিনি সময়ে যা কিছু
সব ধরা থাকে তারায়,
কাজল সরাবার অপেক্ষায়
সস্তায় হাসতে পারে যোগিনী
টুকরো টুকরো ব্রাত্য দিনরাতে
তোমার সাথে আজন্ম অস্থায়ী বিভেদ
পুজো শুধু বারোয়ারি সয়ে থাকি ভালোবেসে
বাকি, হিংসে গাইতে আমিই পারি।
ভাঁটা
কতো কিছু করা বাকি থাকে, আক্ষেপ করাও যায় না।
সেখানে অন্য কারুর আক্ষেপ ফুটেছে বহু আগে
এভাবে পেয়ে পেয়ে না পাওয়া
বা না পাওয়ার মাঝেই পেয়ে যাবার জিত
কখনো বৃষ্টি আসছে বলেই উচ্ছ্বাসেও ভাঁটা
একটানা হাসি সয় না,
গরম ভাপের চাদর পেতে অনিদ্রার ঈশ্বর
চেয়েচিন্তেও একমুঠো বারিশ বাঁধতে না পারা
নাকি এভাবে বাঁধা বারণ
উঠোন ছাড়াও অনেক অপেক্ষা
যেখানে প্রয়োজনের দখল
হঠাৎ অপ্রয়োজন জোয়ারের বেলা শেষে...
স্বার্থ-পর
বাবাকে যা যা বলতে চেয়েছি
তুমি শুনে ফেলেছো
বাবার মতো অভিমান মুছিয়ে
মুখে গ্রাস তুলে দিয়েছো...
পরপুরুষ।
তোমার দেওয়া সিঁদুরে মেঘের ভয়
পঙ্গপাল ছাওয়া,
আমার দানা খুঁটে লোপাট,
ভোলাতে চাও অক্লান্ত...
পরপুরুষ।
এখন তুমি খণ্ড
এবার আমি বিখণ্ড
রুপোলী পাকে আগুন
তবু সাগর গর্জে...
পরপুরুষ।
তোমার সাত পাকের ঘর
আমার সাতজন্মের জ্বর
আবছা খেলার চর
লেপটে থাকা পর
...পুরুষ।
ছায়া-ডাক
একেকটা দুপুরের কলিংবেল
তোমার পিঠ হয়ে যায়
দরজার চোরা চোখ
অবিশ্বাস করে নিজেকেই;
জন্ম নেবে বা নেবে না,
দোলাচলে থাকা শ্বাস
বার দুই দেখে নিশ্চিত হয়,
সে তোমারই অপেক্ষা।
তুমি বলোনি তো ফিরবে
শুধু অবয়ব ধরে রেখেছিলে,
দুজনে যখন হেঁটে চলে গেছি
বহুদূর আলাদা পথে...
একটা করে জ্বলে ওঠা বাতিতে,
চা' গুমটিতে তোমার এঁটো বিস্কিটে,
নানা নিষেধাজ্ঞায়, চেনা দাঁতে...
লিখে দিলে, আলোর প্রাসাদে দেওয়াল নেই।