মৌ মধুবন্তী
ঝড় ঝুলন
ঝড় নিখিল বললে, কবি কি বোঝায়?
আকাশ, মাটি, পৃথিবী ?
নাকি
মাটিতে
শোয়ায়
শব্দের অধঃপতন
সান্ধ্য সংস্কৃতি বললে, কবি কি বুঝায়?
নরম বিকেল নাকি মুঠো ভর্তি মুকুল কাব্য
কি বুঝায়?
কাবেরী জ্ঞান
বাতাসের রেণু
অনধিকার প্রেম-বলতে আসলে কি বুঝায়?
ফুলের দুশমনি বলতে কি বুঝায় কবি?
ফুলের পরাগরেণু নাকি
সে এক অবলম্বন মন
তন্তুবায়ু নাকি মনের আতশ বুনন ।
চতুর শিয়াল বললে, কবি কি বুঝায়?
খোয়াড় থেকে
শেয়াল কুকরুটা খেয়েছে
কিন্তু খোয়াড়ে রাখেনি
হাড়ের আঘাত প্রমাণ কিংবা ঝড়ের চিহ্ন।
কবি বলতে চাইল,
মেলায় মেলানো মন
ঝড়ের আভাষ খুঁজে খুঁজে
বই মেলায়
কেমন করে
ঢুকলো জোর করে... অবশেষে ।
মার্চ ২৫, ২০১১
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
***প্রত্যয়ী মৌ***
ভোর ব্লবার্ড
হৃদয়ের জেগেছে ভোর
সবাই এখন আনন্দখোর
কে রাখে কার কাঁধে
আনন্দে কে না
কাঁদে
কে বোঝে না বোঝার ভার
যদি চলে যাও এইবার
দেখা হবে নিশ্চিত অনেকবার
সবারই অভিমান আছে
সোম জলে ভাসে ।
এখন সব কিছু খালি খালি লাগে তালি
স্বপ্ন
বিহাগ কেন যে বাজালি?
তবলার বোলে ধিনাক ধিনাক সোম আর খালি
এপ্রিল ১১, ২০১২
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
***প্রত্যয়ী মৌ***
যুগল প্রিয় গান
আমাদের ছিল যুগল প্রিয়গান,
ঘাট পেরিয়ে নদীর ওপারে ঘুমায় অচেতন
আমাদের ছিল নক্ষত্র দিন , নক্ষত্র রাত
অভিমান কড়া জালে তেতো হয়ে গেছে সুপ্রভাত
এখনো
সুপ্রভাত মাইনাস চল্লিশের নিচে হীম ভোর হয়ে আছে
প্রেম নয়, ভালোবাসা নয়, দীনতার দড়ি বেশী টানে কাছে
আমাদের ছিল হাত ধরে
নির্জন রাস্তায় হাঁটার স্মৃতি বিলাস; বহুল
আলোচনা যুগপৎ ভাবনার প্রেক্ষাপট।
ভ্রমনের আশচর্য সব স্পট,
আজ সব ঝিমিয়ে আছে
মাইনাস চল্লিশের নীচে হীম ঘরে লাশ হয়ে।
দীনতার দড়ি বেশী টানে কাছে
কাল যা এতোটা জ্যান্ত ছিল,
অভিমান প্রিয় দিন ভেঙ্গে ফেলে
ছোট্ট নাবালক হাত থেকে ফেলে
দেশ ভাগ হলে
কাঁটা তার জেগে থাকে অতন্দ্র প্রহরী
অভিমান হলে
মনও ভাগ হয় কি?
জানুয়ারী, ১৬, ২০১৪
হেনস্থা
একখান বেহান এসে বলে
কাল রাইতে ছিলা কোথায়?
মুখ ফিরাইয়া বলি, নিজের কাছেই ছিলাম
বেহান বলে, তা হইলে তোমাকে এমন বেহাল
লাগিছে ক্যান?
লাগবেই তো! নিজেরে পাওন কি এতোই সোজা?
ধানের চাক্কী ঘুরাইয়া তো কেবল চাইল খোঁজো
পাও কি তাই? সাথে তুশ আহে, ভাঙ্গা চাইলের কণাও
আমার কাছে রাইত ছিল, রাইতের কাছে আমি
এমন জড়াজড়ি কইরে ছিলাম
নিজের হুদাই খুঁজেছি
এহন আবার এইবেলা তুমি আইলা
আমার জন্য কোনই প্রহর নাই!
মে ২৯, ২০১৩
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
অরু
অরু!
এমন অগ্রিম এসে, তুমি, টপাটপ মনের বারান্দায় বর্ণবৃত্ত ফুলের চারা
লাগিয়ে দিলে-এখন কৃষি ঋতু নয়- আমি কোন ভবিষ্যতের পুকুর থেকে জলসেচ দেব? অরু! এমন শর্করা আবদারে তুমি আমাকে জন্মনিয়ন্ত্রন স্বপ্ন
বুনতে বললে, আমি কাঁঠালি চাপার গন্ধে ব্যাকুল
হয়ে কবিতায় নুড়ি পাথর গুনি। জানালার বার্লিনে মোলায়েম থুতনি ঠেকিয়ে তোমার চোখের
মণিকোঠায় মুগ্ধরস পান করি। অরু! একদিন আমরা কিংবদন্তী হয়ে উঠব। কৃষি ঋতু
পরিবর্তনের মত মানুষ আজকাল সম্পর্ক বদল করে নানান রকম সম্পর্কের চাষ করতে শিখে
গেছে। চলো, আমরা সমুদ্রে যাই। সম্পর্ক
পরিবর্তনের এই যুগে, আমরা জনপদ হয়ে যাব।তার চেয়ে
চল, আমরা সমুদ্রে যাই। আজকাল সম্পর্ক বদল হয়ে
যাচ্ছে। চল, আমরা সমুদ্রে যাই...।
জানু ২১, ২০১০
টরন্টো, কানাডা, পৃথিবী
***প্রত্যয়ী মৌ***