রত্নদীপা
১০
সেমিকোলন খুলেছে । ছোট হয়ে আসা পাখিদের ।
কমাগুলি লেপটে দিতেছে ।
আয়না । তোমাকে বড় হিংসে হচ্ছে জানো । প্রতিটি হাইফেন যখন দাঁড়ি টানছে। তুমি শুরু না হতে ঠুকে যাচ্ছে । আশ্চর্য বোধক
তাল । তখনো । তার ভেসে যাওয়া অসম্পূর্ণ ।
ফুলস্টপের খালে পড়ে থাকানো থকথকে ।
তুমি কখনের । তখন দর্পণ । মায়াশশীর হাল ধরে চলে
যাচ্ছে ।
কামিজক্লান্ত । জামাকাপড়ে গর্জিত । সাগরপরী ।
কবে যে ফিরবে । কুড়িয়ে নেবে । ততদুর পৌঁছে যাওয়া
। অলকচূর্ণ ।
যতদূর কমরেড । আর পাঁচটি টিমটিম রেড ।
১১
ধরে নিই তুমি আছ পরিনত পরিমিতির মহাচুম্বনে ধরে
নিই তুমি আছ আমার আভরণহীন আবরণের অটুট দূতাবাসে
ধরে নিই তুমি আছ শব্দবেগের চাইতে দ্রুত কোনো দেশে কোনো মহাদেশে
অস্ফুট দৈত্যের অলীক মাউজারে ফানুস গুটিয়ে অন্ধকার ধর্মবকের আলোকফিনে তুমি আছ
বাউলের অপুষ্ট আখড়াস্তনে
ধরে নিই তুমি আছ
কার্বনের ঝাউকাউচে ইট আর সিমেন্টের মোহনবাঁশীতে
সহজপাঠের পথ পরিক্রমায় লাখ লাখ টন জলভিখিরিদের আত্মঘাতী ধারাপাতে তুমিই আছো
ধরে নিচ্ছি তুমিই আছো আমিদের ব্যক্তিগত আয়নায়
১২
অপূর্ব অপূর্ব সেই স্কুলমেয়ে
পাঠের অবরে
সবরের শিসবাজানো
ফিনফিনের বকুল
সরুদোল দিঘীটির জরিসানাই
পান আর সিঁদুরের এজমালি
এন্তার ফিতেখানি লাল
ডাকছে
কণা দিদিমণির পারফিউম
শুনছে
অপূর্ব সেই স্কুলমেয়ে । বালিকাদুষ্টুমি ।
পিকনিকে আঁট হাওয়া । লাট খাওয়া ।
অদৃশ্য । বাড়ছে সেতারের প্রতিদিন ।
দৃশ্য । আয়না । অপূর্ব সেই স্কুলমেয়ে ।
পাকা বধূস্বর ।
আঁকছে ।
১৩
আয়না হোক । আরেকটু বেশি কোরে আয়না হোক ।
তারপর মনে করবো তোমাকে । নতুন সূচীপত্র ।
জলবাজনা ।
সেবারে কিন্তু খুব । আমরা । তাই না ?
এবার কিন্তু ভিজবো । তারস্বরে ।
গাছেরা টানবে হাত ধরে । সুখটান । জোনাকির ডিম
ফেটে বেরোবে চাঁদের ছানা । আমরা সেই শিশুটির বাপ-মা । হাট্টিমাটিম ছড়িয়ে । আয়নারা
।
নাচবে পা । তুমি বলবে ... রাই কোথায় । রাইরোগই বা কিসের ।
হেসে উঠবো । কেঁদে উঠবো । কেউ পড়বে না জেনেও ।
শিশুটি হাততালি লিখবে খুব । একটি প্রার্থনাগৃহ ।
রাত জাগতে হবে জেনে । ভোর ভোর উঠবে । জাতকরাশির আজান ।
১৪
শুভান আল্লার হোয়াইট যারা পড়ে এবং পড়ায় । তাদের মিসচিফ ।
যাদের হাতে আঙুল ছোঁয়ালে । ট্রিগার । আভার ভেতর লটকে থাকা ।
ঘুরন্ত সুপারনোভার দিকে তাকিয়ে । বাতাস ঝাঁজরা ।
দমকার পা গেঁথে ।
ফায়ারিং স্কোয়াডের মোড় । বাম্পারের রোদড্রাগন ।
মাথাউঁচু চক্কর ।
আর এইসবের মধ্যেই । পোয়াতি পৃথিবী । পেটসহ ।
খোদা যদি মঞ্জুর করে । আমি ওর প্রেমে পড়বো ।
খুল্লমখুল্লা ।
১৫
আয়নায় ।
হাতের কয়েকটি দাগে । রক্তবরণ । কল্পবিবাহ । বাসরগুলি পরতে পরতে । পক্ষীমানুষ ।
কারা যেন উপহার করেছিল একদায় । মদূরবিলীন ফিরতি । কখন কোনখানে । সপরিবারে ।
আখতারিপাখির মত । তা । দিতে দিতে সেই বেগম
। রম্ভাময়ূর । শুনছ । গা । ছমছম ।
অগ্নিকণা ? আলগা নাচভেসে । অপ্সরীর বিপরীতে এখন ?
সমুদ্র-অসুখ । আমাকে দেখাবো বলেই । কত কিসিমের ।
ঝঞ্ঝাসুখ । ফুঁসে ওঠা তিনকূল । সামাল সামাল । আমি জিতে যাই । মাত্র দশ সেকেন্ডের
একটি আয়না । সেও । চায় না ।