রিয়া চক্রবর্তী
অন্ধ সময়
শিশু,নারী,
বৃদ্ধ,প্রত্যেকেই মৃত।
মানুষের মুখোশ পরে থাকে মুখ।
চারিদিকে অপচ্ছায়াদের ভীড়।
পিশাচের আপন স্বামী, সন্তান ভক্ষণ।
হিংসা, প্রতিহিংসা,
ঘৃণার আগুন।
শেয়াল কুকুরের টেনে নিয়ে যায়,
দেশের নাড়ি, ভুড়ি, হাড়, মজ্জা।
কাদের রক্তে বারবার ভিজছে মাটি।
কাদের মাথার খুলিতে ফোটে না কোন ফুল।
এইসব অবান্তর প্রশ্ন, কেউ জিজ্ঞেস কোরো না।
কেন রাতের পর রাত গণ ভক্ষণের স্বীকার,
মেয়েটির মুন্ডুহীন দেহ থাকে ঝোপের আড়ালে?
কিংবা মেয়েটির যৌনাঙ্গে বুটের লাথি মেরে
কেন ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো পাথর?
নিজের জাতের পুরুষকে বিয়ে না করার
অপরাধে কেন অন্তসত্তা মেয়েটিকে
জীবন্ত পুড়িয়ে মারে, সবার সামনে?
কেন ছয়মাসের বাচ্চার মাথা ডিভাইডারে
থেতলে দিয়ে তার মা কে ভক্ষণ করা হল?
খবরদার, এইসব প্রশ্ন করো না নারী তুমি।
কারণ জন্ম দেওয়া অধিকার একমাত্র তোমার।
আর এই পিশাচদের জন্মদাত্রীও যে।
মৃত্যুর আয়নায় দেখ নিজেকে
সাত পুরুষ ধরে শোষণের পীড়ন।
মৃত্যু আর শোষকের মধুর মিলন।
জীবিতদের জন্য মৃতের কান্না।
মাথার ওপরে রক্ষকের আগ্নেয় হাত
মৃত্যুর আয়নায় দেখে নাও নিজেকে
হে হতভাগ্য প্রজাগণ।
নারী মাংসের নরম পিন্ড
খুবলে নেয় নর পিশাচের দল।
লড়াইয়ে অপটু হাত, বিস্মিত চোখ
ছিন্নভিন্ন, লুন্ঠিত লজ্জা, রক্তাক্ত মন।
এই কুৎসিত, বীভৎস, যন্ত্রণা!
এই সময়ের দাবি,সমাজের ভিত
হোক দৃঢ়তর, দিক কঠিন শাস্তি
নারী মাংস লোভী নর পিশাচদের।