রুমা ঢ্যাং অধিকারী
অপরাহ্ণকালীন
ভূতের বেগার খাটুনি খাটার পর
বেনোজলে ভেসে যেতে দেখি পুকুরের প্রেম প্রেম
ইচ্ছে
কচুরিপানার গায়ে তখনও বৃষ্টিফোঁটা
এসব দেখেশুনে
বিরহদিনে
অপরাহ্ণকালীন একটু জিরিয়ে নেওয়া
ঘি ঢেলো না
পুরাতন হল ছাই চাপা আগুন
শোনো মনোকামিনী, যোগীডুমুরের কাঠে ঘি ঢেলো না
নোনা জল মুঠোয় ভরে
সূর্যাস্তের দিকে মাস্তুল টাঙিয়ে - দাঁড় বাইলে
নিজেকে নিঃস্ব করে ফেলবে!
এসব কথা বলতে বলতে আরেকবার দেখা হয়ে যায়
নতুনখাতার আঁচড়...
স্কার্ফ জড়াবো কিনা
বেনোস্রোত অভিমুখে যাওয়ার আগে
একটু চিয়ার্স
হরগঞ্জের ফুটপাথ জুড়ে ঠোঁটের ব্যামোতে
শব্দ উড়ে চলেছে ডানা নিয়ে
হাতফেরি উশুল করে যদিও বেরিয়ে পড়েছে
শুঁড়ের সাক্ষী মাতাল
মাথায় বিলি কেটে তারা ঢুকিয়ে দিচ্ছে
বাম্পার বাম্পার অফার
যার পোশাকি নাম ক্ষুধা
স্কার্ফ জড়াবো কিনা এবার ভাবতে হবে...
কৃতকাজ
জীবন সড়কের কাঁটাভাঙা পেন্ডুলাম
দুলে চলেছে -- বিরামহীন।
নীতিবাগীশ হিমালয় উপহার দেয় বাঁকা রাস্তা ;
অচেনা সময়ের প্ল্যাটফর্ম, স্টেশন, জঙ্গল, বুনো গোলাপি ফুল
পেরোতে পেরোতে চলি নিজের ঠিকানা।
অজগর পেট চিরে জন্ম নেয় অনামা জ্ঞানহারা
গল্পকাহিনী ;
মুখচ্ছবি দেখতে দেখতে ইঞ্জিন জুড়ে দেয় পথের
পাঁচালী।
আমরা নিছক পথিকৃতের খেলনামাত্র!
গোল
মানো অথবা না মানো
চব্য চোষ্য লেহ্য পেয় ছাউনির অন্তরালে
এক একটা ছৌনাচের মুখোশধারী রসিকের সঞ্চয়।
নদীর চোখের জল
স্পর্শ করে না কোন ফুটবলের মাঠ!
লাথি, অবজ্ঞা, অবহেলায় ফুটবলের গোলে হাসে
নাবিকের টাক
রোদ বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা শেষে থমথমে রাত নামে
তুমি থেকে যাও গোলে মত্ত!