মন্দিরা ঘোষ
আমার শায়িত লজ্জা
নির্জন
সন্ধ্যাসব ভেসে যাক অন্ধকারে
ঘুমঘোর
ভাঙুক যত নিশাচরের,
নেমে আসুক অসম্ভবের রাত।
শুধু ছন্দ থাকুক বৃষ্টি পতনের,
ছন্দ থাকুক তোমার চোখের পলকে
না বলা কথার উচ্চারণে
তোমার পুরুষাকারের ঔদ্ধত্যে
তুমি আসবেই জানি-
সমুদ্রের ঢেউ ভেঙে ভেঙে
ঝিনুক মারিয়ে বালির শয্যায়,
শুধু সমুদ্রফেনার আঁচল দিয়ে
ঢেকে দিও আমার শায়িত লজ্জা।
কলঙ্কিনী হই
খড় কূটো ভাসা অধ্যায়পথ আমার
ভিজে অন্তরাত্মায় রাশি রাশি কর্মের ফল
সরিয়ে রেখেছি পরজন্ম
গতজন্ম মেলে আছে ডালপালা এখনো
মধুৎসবের আয়োজনে অক্ষজ সুখে
মৃত্যু সাজিয়ে বসেছি মাহকাল ধরে
রম্যতা বাঁচিয়ে রেখেছি কিছু আজো
শতাব্দীর ভগ্নসৌধে
অভিসারে ভবির শিখীপাখার স্বপ্নঘোর
এ জন্ম না হোক পরজন্মলোভে
এসো কলঙ্কিনী
হই একবার!
ছুঁয়ে থাকি
তোমাকে ছুঁয়ে থাকার আনন্দে
রাত ভোর হয়
সকালবেলা চায়ের কাপে
বাষ্পীয়
সম্পর্কের লেনদেন
সংসার ছুঁয়ে থাকে
পায়ে পায়ে সারাবেলা
ভাবনার টানাপোড়েনে দৃশ্যত
গড়ে ওঠে আত্মিক লেনদেন
তীব্র অনাদর ও পথ খোঁজে
জীবনের পেয়ালায়
এই অবেলায় এস আরেকবার
অলৌকিক মেলামেশা শুরু করি
আটলান্টিকের নীল ছায়ায়
দুঃখবোধের নকশা
ধারাবাহিক
মনখারাপের খাতা খুলে
হিসেবহীন আঁকিবুকি
এক একটি শব্দ জুড়ে জ্যামিতিক
দুঃখবোধের নকশা
কোন একটি সজল শব্দ
মুছে দেয় সব অভিমানের প্রলেপ
খুলে রাখা জানলায় যত্ন রাখি
প্রেমের নাব্যতা মাপি অনুভবের পারদে
অধিকারের ছুরি রক্ত ঝড়ায়
দিনরাতের হিসেবের খাতায়
তিতিরের টুকরো পালক জমে
অসময়ের টনটনে বুকের খাঁজে
না বলা প্রেমের মৌচাক
শব্দের হুলে জর্জর বালিয়াড়ি
জরায়ুজ ঢেউয়ের প্রলেপ
মরুমায়ার মত খেলা করে
ভাঙ্গে জোড়ে কিংবা ভেসে যায়
অবেলায়
সময়ের সোনার বুনন
সম্পর্কের পালকগুলি
প্রিয়বিচ্ছেদের মত
খসে যায় একে একে
পৃথিবীর সব অবিশ্বাসী আঙ্গুল
বুঝে নেয় মাংসের হিসেব
বৃদ্ধ চামড়ার নামাবলী গায়ে
লজ্জায় জড়সড় সম্পর্কনাম
ভিটেমাটি
জুড়ে অশরীরী
স্নেহের কান্না গড়াগড়ি যায়
একটি অসহায় দিন
ধূলোমাখা কচিহাত ভরে
দিয়েছিল অক্ষরজ্ঞান,
মোটাচাল অভাবের সুখটান
পর্যাপ্ত সময়ের সোনার বুনন
সব ভুল লহমা বিকার
স্বার্থ খুঁটে খায় রক্তের স্বাদ
লক্ষ্য
এক মৃত্যুপথ
দিনগোনা পড়ন্ত বেলায়