ফেসবুকের দৌলতে লেখালেখির জগতে সহজ ঢুকে পড়লাম। বিভিন্ন গ্রুপে লিখতে লিখতে মুদ্রিত প্রকাশনায় হাতেখড়ি হয়েগেল। এভাবে কবিতা লেখার চর্চা একটা নেশায় পরিণত হল। মু্দ্রিত প্রকাশনা ছাড়া ওয়েব প্রকাশনায় লেখা পড়তে লাগলাম। একদিন এভাবেই ভেসে এল "কবিতাউৎসব" নামে একটি ওয়েব প্রকাশনা। কবিতাউৎসবের ওয়েব পেজের বলিষ্ঠ লেখা পড়তে পড়তে মনের ভেতর লেখার একটা তাগিদ নাড়া দিতে থাকত। লেখা পাঠাবো ভেবেও পাঠাই নি। বিভিন্ন প্রকাশনার জগতে এই "কবিতাউৎসব" প্রথম সারির সকল ওয়েব প্রকাশনার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি প্রকাশনা হয়ে উঠলো আমার কাছে। আমার খুব প্রিয় প্রতিভাবান লেখক বন্ধুদের লেখায় সমৃদ্ধ এই "কবিতাউৎসব"। প্রতি মাসের একুশ তারিখে নিয়মিত প্রকাশ হয় এই ওয়েব প্রকাশনা। এই প্রকাশনা সকলের অন্তরে একটা স্থায়ী আসন দখল করে নিয়েছে তার প্রকাশিত প্রতিভাবান লেখনী লেখনীতে। তাই আমি ২০২০ সাল সাল থেকে শুরু করলাম লেখা পাঠাতে। আমার লেখার মনোনীত হওয়ার ইমেল সংবাদ পেয়ে যারপরনায় খুশি হলাম। মনে হল এখানে না লিখলে হয়তো আমার কবিতা চর্চা বৃথা। আমার ভাবনার পরিতৃপ্তি ঘটল। সেই থেকে পর পর কয়েকটি সংখ্যায় লেখা প্রকাশিত হল। এবার এই ওয়েব প্রকাশনার ভালো লাগা মন্দলাগা বিষয়ে কিছু লিখতে বসলাম।
কবিতাউৎসব বিগত পাঁচ বছর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রতি মাসের ২১ তারিখে প্রকাশিত হয়ে এসেছে। এবং সেই সাথেই ৬০টি মাসিক সংখ্যা ও বিগত ১৪২৬ সালের ১টি শারদীয়া সংখ্যাসহ সর্বমোট ৬১টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি সংখ্যায় তিনটি করে লেখা প্রকাশিত হয়। কোনো সংখ্যায় বিষয় উল্লেখ অনুযায়ী লেখা প্রকাশিত হয়। কবিতাউৎসব যেভাবে পাঁচ বছর ধরে ধারাবাহিক প্রকাশনা করে গেছে তা একটি লেখনীর জগতে বিরল এক নতুন দিগন্তের দৃষ্টান্ত। এই কবিতাউৎসব ওয়েব প্রকাশনার কাণ্ডারী হিসেবে যিনি আছেন তাঁকে অব্যয় কাব্য বলেই চিনি। তিনি সকলেরই অব্যয় কাব্য। তাঁর নিরলস প্রচেষ্টায় ও নিষ্ঠায় সম্পূর্ণতা লাভ করেছে। তাঁর আন্তরিক সম্পাদনায় মুখরিত হয়েছে কবিতাউৎসবের নান্দনিক সুচারু প্রকাশনার সৌরভ। আর সেই সৌরভের দাবীদার হয়ে নিজেকে গর্ববোধ করতে দ্বিধা করি না। আর এই প্রকাশনার বিভিন্ন সহযোগী যাঁরা বৈঠা হাতে "কবিতাউৎসব"কে সাহায্য করে যাচ্ছেন তাঁদেরকে ও সম্পাদক মহাশয়কে অপার ভালোবাসা। "কবিতাউৎসব" ওয়েব প্রকাশনার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি। আরও এগিয়ে চলুক এই শুভকামনা রইল।