বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

দিশারী মুখোপাধ্যায়

 

আমি তখন প্রায় শেষ বেলার এক অনিবার্য ব্যক্তিগত অন্ধকার নিয়ে নাড়াচাড়া করছি, হঠাত্‍ কবিতাউৎসবের সঙ্গে পরিচয় হয়। সঠিক দিনটা মনে নেই। কয়েক বছর আগে। তখন থেকেই এই ওয়েম্যাগাজিনে লিখে আসছি। পড়ছি নিয়মিত। এই মাঘ সংখ্যার সাথেই আমাদের প্রিয় কবিতাউৎসব ওয়েব প্রকাশনার জগতে তার পঞ্চমবর্ষ সুসম্পূর্ণ করছে। লক্ষ্য করে দেখেছি কবিতাউৎসব পাঁচ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রতি মাসের ২১ তারিখে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে বাংলা মাসের নামে  সংখ্যাগুলোকে চিহ্নিতকরণ লক্ষ্যণীয়। ৬০টি মাসিক সংখ্যা, ১টি শারদীয়া সংখ্যাসহ মোট ৬১টি সংখ্যা প্রকাশ নিসন্দেহে কৃতিত্ব দাবি করতে পারে ওয়েব প্রকাশনা জগতে । কাগজ কলমের যুগ যাই যাই করছে। প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসার বাড়ছে। আন্তর্জাল দুনিয়াকে ধারণ করে থাকা যান্ত্রিক ব্যবস্থাগুলো (ডিভাইস) উন্নতি করছে, রকমফের বাড়ছে, সহজপ্রাপ্য হয়ে উঠছে। লেখাপড়া জানা প্রায় সব লোকই এই প্রযুক্তিগত সুবিধাকে জীবনের সর্বক্ষেত্রে গ্রহণ করতে সক্ষম হচ্ছে। কয়েক দশক আগে থেকেই ওয়ে জগতে বাংলা ম্যাগাজিনগুলো অল্প অল্প করে পা ফেলতে শুরু করেছিল। এইসময়ের অনেক আগে থেকেই কবিতাউৎসব ওয়ে ম্যাগাজিন তাদের কাজ চালিয়ে এসেছে অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে। দুই বাংলার শত শত খ্যাত অখ্যাত, গ্রাম শহর, নবীন প্রবীণ বহু কবির কবিতা প্রকাশ করে আসছে। লেখকের সঙ্গে যোগাযোগ, কবিতা সংগ্রহ, অন্যান্য লেখার বিষয় নির্ধারণ ও সংগ্রহ এবং নির্দিষ্ট দিনে প্রকাশ এক কথায় অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ছিল। বহু ভালো কবিতা পড়ার সুযোগ পেয়েছি। আমি কৃতজ্ঞ যে এখানে একাধিকবার লেখার সুযোগ পেয়েছি। নীরবে, বাগাড়ম্বর বিহীনভাবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছে কবিতা উৎসব। পত্রিকার বিষয় ছিল অবশ্যই কবিতা। প্রিয় কবি প্রিয় কবিতা, কবিতাগুচ্ছ, এ মাসের অতিথি (সাক্ষাৎকার) , বিশেষ সংখ্যা ( পরকীয়া সংখ্যা, ভাষাদিবস, রবীন্দ্র সংখ্যা,  আদি রসাত্মক কাব্য সংকলন,  মহামারী ও অস্তিত্বের লড়াই বিষয়ক) , দুই বাংলার কবিতা, তথ্য সমৃদ্ধ গদ্য ও আলোচনা, উৎসব সংখ্যা। পত্রিকার সম্পাদকীয়তে পত্রিকার স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও রুচিবোধ ফুটে উঠেছে। কবিতাউৎসবের এই সামগ্রিক পথচলাকে ধন্যবাদ জানাই, কুর্নিশ জানাই।