বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

অনিন্দিতা সেন

 

আহা, ভাবতেই মন টা কেমন উদাস হয়ে গেল?? হারে, এই যে বলা হচ্ছে এটাই নাকি শেষ সংখ্যা! কিন্তু কেন?  শব্দের  জাল বুনে বুনে এহেন সাহিত্যিক মিলন... এ তো পরিবারের মত! নয় কি? তাকে কি এমন বিদায় বলে দেওয়া যায়! না না, আমি তো একেবারেই মানতে পারছি না। ও হে সম্পাদক দাদাভাই...  আপনিও কি ভাববেন না আর আমাদের কথা? বিভিন্ন বিষয় আগে থেকেই দিয়ে দেওয়া, তাই নিয়ে শব্দে ছন্দে অনুভূতির মালা গাঁথা...,সম্পাদক এর দপ্তরে পাঠানোর আগে চুল চেরা বিশ্লেষণ...  সবই ছিল একে অন্যের পরিপূরক। হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন, আমাদের কবিতাউৎসব পরিচালিত দীর্ঘ পাঁচ বছর ব্যাপি যে কবিতার কথামালা আয়োজিত হল, আমি তার কথাই বলছি। কবিতা তো অনেকেই লেখেন বা লিখে থাকেন, কিন্তু কজন পারেন গুনী  কবির শব্দ- সন্ততি কে এমন সমাদর দিয়ে যত্ন করতে? বেশির ভাগই সচরাচর যেমন দেখে থাকি কবিতার আসরে নিজের কবিতাটি বলে চটপট কেটে পড়া, অথবা অন্যান্য কবিদের ফেবুর দেয়ালে একটু আধটু উঁকি মেরে দুচারটে লাইক কমেন্টস দিয়েই নিজের লেখায় তথাকথিত সমালোচনা আশা করা। এতে আর যাই হোক, লেখার উন্নতি সাধন হয় কি? কবিতউৎসব কিন্তু একেবারেই ব্যতিক্রমী একটি প্রচেষ্টা।  প্রতিটি বাংলা মাসের ২১ তারিখে  নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বেশ কিছু  নির্বাচিত লেখার সুন্দর একটি সাহিত্যিক আলপনার এহেন প্রকাশ... বয়ে আনত সুখস্মৃতির মোলায়েম সৌন্দ্যর্য্য। একটি সুন্দর ঢাকাই জামদানি শাড়ি ছিল এই সাহিত্যের বুনন। আর তার নকশিকাঁথা পাড় টি যেন কবিতাউৎসবের আন্তরিকতা ভরা উদ্যোগ। যাই হোক, শেষ হয়েও যেন হইল না শেষ... আবার ফিরিয়া আসিবে সেই মাহেন্দ্র ক্ষণ।  সেই আশাতেই..........................